২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিজ্ঞান অধ্যায় ছয় : সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য

-

সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অধ্যায় ছয় : সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্য’ থেকে ৪টি সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন
প্রশ্ন : খাদ্য সংরক্ষণের ৩টি উপায় বর্ণনা করো।
উত্তর : খাদ্যের বৈশিষ্ট্য ও মান বজায় রেখে খাদ্যের পচন রোধ করে সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় মজুদ করাকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে। খাদ্য সংরক্ষণের বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন রকম। খাদ্য সংরক্ষণের উপায়সমূহ নিচে দেয়া হলো-
ক. খাদ্যের বৈশিষ্ট্য বা গুণাগুণ ঠিক রেখে খাদ্যদ্রব্যকে উচ্চতাপে শুকানো। উচ্চতাপে খাদ্যদ্রব্যের জীবাণুকে ধ্বংস করে বদ্ধ পাত্রে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- মাছ, মাংস, সবজি, ফল ইত্যাদি।
খ. বরফ জমানো ঠাণ্ডায় খাদ্যে জীবাণু জন্মে না বলে এর মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- টমেটো, মটরশুঁটি, ঢেঁড়স, গাজর, মাছ, মাংস ইত্যাদি।
গ. হিমাগারে বিপুল পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদি। এভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন : খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা কী?
উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিচে খাদ্য সংরক্ষণের উপকারিতা ব্যাখ্যা করা হলোÑ
ক. সম্ভাব্য আপদকালীন সময়ে খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য খাদ্য সংরক্ষণ করা।
খ. খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবারের খাদ্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনা যায়।
গ. খাদ্য সংরক্ষণ করে পরিবার ও দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা যায়।
ঘ. পচনশীল খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করে টাটকা ও তাজা রাখা যায়।
ঙ. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সংরক্ষিত খাদ্য বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়।
চ. খাদ্যের অপচয় রোধ করা যায়।
ছ. পরিবারের ভবিষ্যতের খাদ্য নিশ্চয়তার জন্য।
প্রশ্ন : সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়। শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। আবার অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ওজনজনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের বয়স ও কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তবে যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে তাদের বেশি খাদ্যের প্রয়োজন।
প্রশ্ন : জাঙ্কফুড বলতে কী বুঝ, ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : জাঙ্কফুড হচ্ছে এক ধরনের কৃত্রিম খাদ্য যাতে চর্বি, লবণ, কার্বনেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক দ্রব্যের আধিক্য থাকে। যেমনÑ আলুর চিপস, বার্গার, ক্যান্ডি, কোমল পানীয়, কৃত্রিম বিভিন্ন ফলের রস, চকোলেট ইত্যাদি।
ব্যাখ্যা : এসব খাবারে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ খুব কম বা নেই বললেই চলে। ফলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। উচ্চমাত্রায় মিষ্টিযুক্ত শস্যদানা, যা বিশেষ করে শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়, তাও জাঙ্কফুড। যেমনÑ ফ্রুট লুপস। তাৎক্ষণিকভাবে খাওয়ার জন্য জাঙ্কফুড সুবিধাজনক। যাতে উচ্চ মাত্রায় চর্বি ও লবণ থাকে। এতে সামান্য শাকসবজি বা খাদ্য-আঁশ সামান্য থাকতে পারে; যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল