১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর প্রস্তুতি : বাংলা প্রথম পত্র গল্প : অপরিচিতা

-

সুপ্রিয় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের ‘গল্প : অপরিচিতা’ থেকে আরো ৩টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রশ্ন : অনুপমের বিয়ের দিন মামা কিভাবে গহনা পরখ করেছিলেন?
উত্তর : কন্যার বাবা গহনায় ফাঁকি দিতে পারেন, এই ভয়ে মামা স্যাকরা নিয়ে গিয়েছিলেন।
স্যাকরা দাঁড়িপাল্লা ও কষ্টিপাথর নিয়ে মেঝেতে বসেছিল। কন্যার বাবা মেয়ের গা থেকে সমস্ত গহনা খুলে এনে সামনে দিলেন। মামা নোট বইয়ে গহনাগুলোর ফর্দ টুকে নিলেন, পাছে যা দেখানো হয়েছে তার কোনোটা কম পড়ে। হিসাব করে দেখলেন, যে পরিমাণ গহনা দেয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে সংখ্যায়, দরে এবং ভারে এগুলো অনেক বেশি।
প্রশ্ন : বাবার মৃত্যুর পর মা অনুপমকে কেমন করে মানুষ করেছেন?
উত্তর : অল্প বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর অনুপম মায়ের স্নেহে এবং বাবার রেখে যাওয়া অর্থের বদৌলতে খুব যতেœ মানুষ হয়।
মা গরিব ঘরের মেয়ে ছিলেন বলে অনুপমকে কখনো ভুলতে দিতেন না যে তারা ধনী। সব সময় ঐশ্বর্যে বেড়ে উঠেছিল এবং শিশুকালে কোলেই বেড়ে ওঠে অনুপম। যে কারণে শেষ পর্যন্ত তার পুরোপুরি জ্ঞানবুদ্ধিজাত বয়সই হয়ে ওঠেনি।
প্রশ্ন : “তাহাদের হৃদয়ের উপর প্রাণের ঝর্ণা ঝরিয়া পড়ে।”- কথাটি কেন বলা হয়েছে?
উত্তর : অনুপম যে গাড়িতে মায়ের সাথে যাচ্ছিল সেই গাড়িতে চঞ্চল তরুণী কল্যাণী কয়েকজন ছোট ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে উঠেছিল।
মেয়েটির প্রাণচঞ্চল চলাফেরা ও কথা বলা অনুপমকে মুগ্ধ করে। মেয়েটির সুধা কণ্ঠে উচ্চারিত সব কথাই যেন সোনা হয়ে ঝরে। ছোটদের সঙ্গে সে অনায়াসে এবং আনন্দে ছোট হয়েই গল্প পাঠ করে শোনায়।


আরো সংবাদ



premium cement