২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় : স্বাস্থ্যবিধি

-

সুপ্রিয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের ‘সপ্তম অধ্যায় : স্বাস্থ্যবিধি’ থেকে আরো ১টি সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন ও ৪টি বর্ণনামূলক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন
প্রশ্ন : বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের পরিবর্তনের কারণে দুশ্চিন্তা হলে তুমি কী করবে?
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের পরিবর্তনের কারণে দুশ্চিন্তা হলে আমি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে মা-বাবা, শিক্ষক, বড় ভাই বা বোনের সাথে পরামর্শ করব।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন : সংক্রামক রোগ কিভাবে ছড়ায় তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : সংক্রামক রোগ বিভিন্নভাবে ছড়ায়। যেমনÑ
ক. সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেমনÑ গ্লাস, প্লেট ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে।
খ. সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচির মাধ্যমে এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে।
গ. মশার মতো পোকামাকড় বা কুকুরের মতো প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে।
ঘ. দূষিত খাদ্য গ্রহণ এবং দূষিত পানি পান করার মাধ্যমেও সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে।
প্রশ্ন : পানি জমে থাকে এমন বস্তু যেমনÑ গামলা, টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারি। এর কারণ কী?
উত্তর : পানি জমে থাকে এমন বস্তু যেমনÑ গামলা, টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে পারি। এর কারণ এখানে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে। এগুলো না থাকলে বাহক মশা ডিম পাড়তে পারবে না। ফলে আমরা ওইসব রোগে আক্রান্ত হবো না।
প্রশ্ন : পানিবাহিত এবং বায়ুবাহিত রোগের সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য কোথায়?
উত্তর : পানিবাহিত এবং বায়ুবাহিত রোগের সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য নিচে দেয়া হলোÑ
সাদৃশ্য : ১. এই দুটোই রোগ।
২. দুটোই ছড়াতে মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
৩. দুটোই ছোঁয়াচে রোগ নয়।
৪. এই দুয়ের মধ্যে সৃষ্ট রোগ ভাইরাসজনিত।
বৈসাদৃশ্য : ১. পানিবাহিত রোগের মাধ্যম হলো পানি, কিন্তু বায়ুবাহিত রোগের মাধ্যম হলো বায়ু।
২. পানিবাহিত রোগজীবাণু দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে, কিন্তু বায়ুবাহিত রোগ হাঁচি-কাশি বা কথা বলার সময় বাতাসে জীবাণু ছড়ানোর মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।
৩. পানিবাহিত রোগের উদাহরণ হলোÑ ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় ইত্যাদি। কিন্তু বায়ুবাহিত রোগের উদাহরণ হলোÑ সোয়াইন ফ্লু, হাম, যক্ষ্মা ইত্যাদি।
প্রশ্ন : হাঁচি-কাশির সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বা রুমাল ব্যবহার করে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। এ ক্ষেত্রে হাতের তালু ব্যবহার করার চেয়ে হাতের উল্টো পিঠ বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করা ভালো কেন?
উত্তর : হাঁচি-কাশির সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বা রুমাল ব্যবহার করে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। এ ক্ষেত্রে হাতের তালু ব্যবহার করার চেয়ে হাতের উল্টো পিঠ বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করা ভালো। কারণ, হাতের তালু দ্বারা প্রতিরোধ করলে হাতের তালুতে জীবাণু ছাড়ায়। এই অবস্থায় হঠাৎ করে ওই হাত দ্বারা কোনো খাদ্য খেয়ে ফেলি তাহলে হাতে ছড়ানো জীবাণু খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে অনেক রোগের সৃষ্টি করবে। ফলে আমরা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ব।


আরো সংবাদ



premium cement
সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক

সকল