আবারো চালু হলো টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সুনামগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্র

সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, নীলাদ্রি লেক, লালঘাটসহ সাতটি পর্যটনকেন্দ্রের ওপর দেয়া বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভীন।

তাহিরপুরে ইউএনওর ফেসবুক পেজেও এ ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে পর্যটকদের আগমন নিষিদ্ধ করেছি উপজেলা প্রশাসন।

টাংগুয়ার হাওর ভ্রমণকারী সুনামগঞ্জস্থ হাছনরাজা তরীর স্বত্তাধিকারী অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ও স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।

তবে সুনামগঞ্জ শহর ও তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নেমে গেছে পানি। বন্যার পানিতে দীর্ঘদিন তলিয়ে থাকা ঘর সংস্কারের টাকা না থাকায় ঘরে ফিরতে পারছেন না অনেক বানভাসি মানুষ। তারপরও প্রকৃতিপ্রেমীদের স্বার্থে পর্যটন স্পটগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, টাংগুয়ার হাওর ভ্রমণ করতে গিয়ে পর্যটকরা মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলা সদর এবং জেলা সদরের পশ্চিম তেঘরিয়া ফেরিঘাট এই তিনটি পৃথক রুট ব্যবহার করে। শীত মৌসুমে পর্যটকদের ভীড় বেশি থাকে। বর্ষা ও বন্যা মৌসুমে পর্যটকরা সর্বোচ্চ ৫০টি নৌকা ভাড়া নেন। সংখ্যায় কম হলেও পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে বেস্টন করে স্থানীয় কর্মজীবি ও শ্রমজীবিদের স্বার্থের কথা বিবেচনায় এনে পর্যটন কেন্দ্রগুলো উন্মুক্ত করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, এখন অনুকূল আবহাওয়া ও উজানে বৃষ্টি না হওয়ায় দ্রুত নেমে যাচ্ছে বন্যার পানি। তাই পর্যটকরা নিরাপদেই টাংগুয়ার হাওড় ভ্রমণ করতে পারেন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সকল পর্যটন স্পট খুলে দেয়া হয়েছে।
সূত্র : বাসস