হবিগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- সিলেট ব্যুরো
- ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৭
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্র তানভীর হোসেন হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। রায়ে তিন আসামীকে এক লাখ করে টাকা জরিমানা করেন এবং অপর জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫), নূরপুর গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে শান্ত (২৬) ও বাছিরগঞ্জ বাজারের জলিল কবিরাজের ছেলে জাহিদ মিয়া (২৮)।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মরমা গ্রামের মরহুম মরম আলীর ছেলে মো: লিমন মিয়া।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল।
তিনি বলেন, আসামিরা পরিকল্পনা করে খুব নির্মমভাবে তানভীরকে হত্যা করে তার লাশ পুঁতে রাখে। তবে আসামিরা একদিন পরেই গ্রেফতার হয়েছিল এবং তারা স্বীকার করে। তাদের দেখানো মতেই লাশ ও আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। মাননীয় আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২১ জনের সাক্ষীর মাধ্যমে তাদের দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার তাদের ফাঁসির আদেশ দেন।
২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন নিখোঁজ হন। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে কল আসে। এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদেরকে আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুঁতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ অনুসন্ধানে জানা যায়, ৬ বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামি উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল। ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন উজ্জ্বল মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন আসামি শান্ত। পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল তানভীরের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে কাঁদার মধ্যে চাপা দেন।
ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা