২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বানিয়াচংয়ে মাদকসেবীর আঘাতে এক নৌ-পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

বানিয়াচংয়ে মাদকসেবীর আঘাতে এক নৌ-পুলিশ সদস্যের মৃত্যু - ছবি : নয়া দিগন্ত

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এক মাদকসেবীর পাইপের আঘাতে জাহাঙ্গীর মিয়া (৪১) নামে এক নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য মারা গেছেন।

সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই এলাকার ৫ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের মার্কুলি বাজারে দুলাল ভ্যারাইটিজ স্টোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহাঙ্গীরের বাড়ি কিশোরগঞ্জে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল শাওন ও জাহাঙ্গীর দোকানে বসা ছিলেন। এ সময় হুট করে ভবঘুরে মাদকসেবী পলক দাস এসে জাহাঙ্গীরের মাথার ডান দিকে স্টিলের পাইপ দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। একপর্যায়ে দোকানের বাইরে গিয়ে অপর পুলিশ সদস্য পলক দাসকে ধরে ফেলেন। এ সময় পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর মাটিতে পড়ে যান। পরে এলাকাবাসী তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুশিল সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে ও বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব। পরে আটক পলক দাসকে বানিয়াচং থানায় নিয়ে আসা হয়। পলক দাস ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শাখাইতি গ্রামের ক্ষীর মোহন দাসের ছেলে।

বানিয়াচং উপজেলার ৫ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জু কুমার দাস জানান, ঘটনার কয়েক দিন আগে পলক দাসকে গাঁজা সেবন করতে দেখলে, তিনি তাকে গাঁজা সেবন না করার উপদেশ দিয়ে শাসন করেন। এ শাসনের ক্ষোভ থেকেই পলক দাস কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে গণমাধ্যমকে জানান, কী কারণে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement