২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দিরাইয়ে আ'লীগের সংঘর্ষ : পাল্টা-পাল্টি করা মামলায় উপজেলা সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪৬ জন আসামি

কামাল উদ্দিন ও প্রদীপ রায়। - ছবি : সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলায় দুই গ্রুপের শীর্ষ নেতাসহ ১৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়া গ্রুপের মাঝে এ সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় নেতাসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

রোববার (২০ নভেম্বর) একই আদালতে মোশাররফ গ্রুপের অনুসারী যুতিমা মিয়া সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়কে প্রধান আসামি করে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা করেন। এর আগে ঘটনার তিন দিন পর গেল বৃহস্পতিবার দ্রুত বিচার আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে সাবেক মেয়র মোশাররফসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ মামলার বাদি প্রদীপ রায় গ্রুপের অনুসারী কলিম উদ্দিন।

যুতিমা মিয়ার করা মামলায় নবগঠিত কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন ও তার বড় ভাই সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, দিরাই পৌরসভার মেয়র প্রদীপ রায়ের ভাই বিশ্বজিত রায়কে আসামি করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব দুই যুগ আগের। ১৯৯৮ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস ছামাদ আজাদ ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গ্রুপের মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা নান্টু রায়। নান্টু রায় হত্যার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুসারী মোশাররফ মিয়া একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার অন্যতম আসামি ছিল সামাদ আজাদ গ্রুপের অনুসারী কলিম উদ্দিনসহ ২৭ জন। সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর বিবাদমান দুটি গ্রুপ সুরঞ্জিত-মতিউর (জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি) গ্রুপে রুপ নেয়। এ দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দিরাই উপজেলার জারলিয়া জলমহাল দখল নিয়ে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মতিউর গ্রুপের তিন ব্যক্তি নিহত হন। তিন খুনের মামলায় সুরঞ্জিত গ্রুপের নেতা প্রদীপ রায়, মোশাররফ মিয়া, হাফিজুর রহমানসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর তার অনুসারী দীর্ঘ দিনের মিত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মিয়ার মাঝে দলের নেতৃত্ব নিয়ে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাদমান দুই নেতার অনুসারীরা বিগত কয়েক বছর ধরে আলাদা নির্বাচন ও দলীয় কর্মসূচি পালন করেন। সর্বশেষ গত ১৪ নভেম্বর দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রদীপ-মোশাররফ গ্রুপের সংঘর্ষ মঞ্চে বসা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী আহত হন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রদীপ রায়ের অনুসারী কলিম উদ্দিন দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়সহ ৮১ জনের নামে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে একটি মামলা করেন। অন্য দিকে রোববার মোশাররফ মিয়া গ্রুপের অনুসারী যুতিমা মিয়া একই আদালতে একই ধারায় আরেকটি মামলা করেন। মামলায়
দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিত রায়সহ ৭৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালত দুটি মামলা আমলে নিয়ে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জকে এফআই হিসেবে নিয়ে মামলা করে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেয়া হয়েছে। প্রদীপ রায় অনুসারী কলিম উদ্দিনের মামলায় মোশাররফ গ্রুপের চার আসামিকে শনিবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে দিরাই থানা
পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত

সকল