১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিলেট নগরে লোডশেডিংয়ের রুটিন প্রকাশ

সিলেট নগরে লোডশেডিংয়ের রুটিন প্রকাশ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিলেটে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর আওতাধীন এলাকাগুলোতে লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এর বাইরেও লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বুধবার বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপিতে দেয়া চার্ট থেকে জানা গেছে।

প্রেস বিজ্ঞপি থেকে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে সিলেট মহানগরীর যতরপুর, মিরাবাজার, আগপাড়া ও ঝেরঝেরিপাড়া, মিরেরচক, পিরেরচক, মুক্তিরচক ও মুরাদপুর এলাকায়।

দুপুর ১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে শাহজালাল উপশহরের ব্লক এ-বি-সি-ডি ও তেররতন, কুমারপাড়া, নাইওপুল, ধোপাদিঘীরপাড় ও ঝর্ণারপাড় এলাকায়।

বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বালুচর, আরামবাগ, আল-ইসলাহ, নতুনবাজার, গোপালটিলা, আলুরতল ও টিভি গেইট এলাকায় লোডশেডিং হবে।

বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, সেনাপাড়া, হাতিমবাগ, লামাপাড়া ও রাজপাড়া এলাকায় লোডশেডিং হবে।

বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কুশিঘাট, নয়াবস্তি, টুলটিকর, মিরপাড়া, মেন্দিবাগ, সাদাটিকর, নোয়াগাও, শাপলাবাগ, মেন্দিবাগ, রায়নগর, ঝরর্ণারপাড়, দর্জিবন, বসুন্ধরা, খরাদিপাড়া, দপ্তরিপাড়া ও আগপাড়া এলাকায় লোডশেডিং হবে।

সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সেনপাড়া, মজুমদারপাড়া, পূর্ব মিরাবাজার, দর্জিপাড়া, খারপাড়া, চালিবন্দর, কাষ্টঘর, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, জেলখানা, ওসমানী জাদুঘর ও পৌরমার্কেট (পৌরবিপনী) লোডশেডিং হবে।

রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজিটুলা, মানিকপীর মাজার, নয়াসড়ক, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া ও চারাদিঘীরপাড় এলাকায় লোডশেডিং হবে।

রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হকার্স মার্কেট, কালীঘাট, আলী আমজাদ রোড, মহাজনপট্টি, মাছিমপুর, ছড়ারপার, উপশহর ব্লক এইচ-আই-জে-ই-এফ-জি ও সাদাটিকর এলাকায় লোডশেডিং হবে।

রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত মেন্দিবাগ পয়েন্ট, ডুবুরিহাওর, নাইওরপুল, ধোপাদিঘীরপাড়, সোবাহনীঘাট ও ওসমানী জাদুঘর লোডশেডিং হবে।

লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এলাকাভিত্তিক প্রাথমিক একটি রুটিন করেছি। উৎপাদনে বেশি ঘাটতি না হলে আমরা চেষ্টা করবো এই রুটিন ফলো করতে। তবে ঘাটতি বেশি হলে এই সময়ের ব্যত্যয় ঘটতে পারে। অথবা ঘাটতি কম হলে তার চাইতেও কম সময় লোডশেডিং হতে পারে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে লোডশেডিং অনেকটা এড়ানো সম্ভব। সিলেটে পিডিবি-২ দফতরের আওতায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। যদি পিক আওয়ারে প্রত্যেকে গড়ে ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ বন্ধ রাখেন তাহলে মোট ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ফলে লোড-শেডিংয়ের পরিমাণ কমে আসবে। এমতাবস্থায় সকল গ্রাহক পিক সময়ে অন্তত একটি ফ্যান এবং অপ্রয়োজনীয় বাতি বন্ধ রেখে জাতীয় সংকট মুহূর্তে সহযোগিতা করবেন- এটাই আশা করছি।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। এতে সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেশব্যাপী লোডশেডিং দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এলাকাভিত্তিক রুটিন করে নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের

সকল