১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোলাপগঞ্জে প্রবল বর্ষণে টিলাধস, নিহত ১

সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রবল বর্ষণে টিলাধসে নিহত অপু পাল - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন অপু পাল নামে এক যুবক। গুরুত্বর আহত হয়েছেন নিহতের আরো এক সহোদর।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরবেলা উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট চক্রবর্তীপাড়া গ্রামে।

নিহত অপু পাল উপজেলার বখতিয়ারঘাট চক্রবর্তীপাড়া গ্রামের নকুল পালের ছেলে। অপু পাল উপজেলার নিশ্চিন্ত এলাকার আইডিয়াল একাডেমির সাবেক শিক্ষক ও বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) আশায় কর্মরত ছিলেন।

জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষণ দেখা দেয় সিলেটসহ গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। সেই সাথে দমকা হাওয়াও বইছে। শুক্রবার গভীর রাতে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে উপজেলার ৭ নম্বর লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট চক্রবাণী গ্রামে নকুল পালের ২ ছেলে নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বসতঘরের পাশের বিশাল পাহাড় সমান টিলা ধসে আধাপাকা ঘর লন্ডণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় ঘুমন্ত অবস্থায় মাটিতে তলিয়ে যান অপু পালসহ তার সহোদর।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে অপু পালকে মৃত অবস্থায় ও তার সহোদরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

নিহতের সহোদরকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেযা হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খলকুর রহমান ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আকস্মীক ঘটনায় নিহতের পরিবারসহ গোটা এলাকায় বইছে শুকের ছায়া।

এদিকে প্রবল বর্ষণে নিহত অপুর বাড়ির পাশে আরো একটি বসত বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বর্ষণে একই ইউনিয়নের নিলামপাড়া গ্রামে একটি বসতবাড়ির টিলা ধসে ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ওই পরিবারের লোকজন। অনুরূপভাবে বুধবার গভীর রাতে পাহাড় ধসে উপজেলার ধারাবহর গ্রামে আরো একটি বসতঘর মাটিতে তলিয়ে যায়। ওই পরিবারের লোকজনও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া, লক্ষিপাশা, লক্ষণাবন্দ, ঢাকাদক্ষিণ, ভাদেশ্বর, বাঘা, গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভার অনেক স্থানে টিলার নিচে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে জীবন-যাপন করছেন। বর্ষা মওসুমে ও প্রবল বর্ষণের ফলে এসব স্থানের টিলা ধসে প্রাণহানির ঘটনার আশঙ্কা করছেন উপজেলার সচেতন মহল।

গত কয়েক বছর ধরে বর্ষা মওসুমে উপজেলায় পাহাড়-টিলা ধসে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবনযাপন করছেন। পাহাড়-টিলা এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে প্রাণহানির ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।


আরো সংবাদ



premium cement