২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যারা সন্ত্রাস পছন্দ করে তারাই র‌্যাবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সুনামগঞ্জে একটি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। - ছবি : নয়া দিগন্ত

যারা আইনশৃঙ্খলা পছন্দ করে না এবং যারা সন্ত্রাসকে পছন্দ করে তারাই র‌্যাবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমেরিকাতে প্রতিবছর এক লাখ লোক নিখোঁজ হয়, এর দায়দায়িত্ব কে নেবে?

মন্ত্রী শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি নগদীপুর ছয়হারা ইসলামিয়া আরবিয়া মাদরাসা, সৈয়দ মনোহর আলী অষ্টগ্রাম মহাবিদ্যালয়, শিরিলব চৌধুরী চাইল্ড কিন্ডার গার্টেন পরিদর্শন করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের র‌্যাব কাজেকর্মে অত্যন্ত দক্ষ। তারা খুব ইফেক্টিভ, ভ্যারি ইফেশিয়ান্ট এবং তারা করাপ্ট নয়। এজন্যই তারা জনগণের আস্থা অর্জন করে সক্ষম হয়েছে। আমাদের দেশের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদের কারণেই কমে গেছে। গত কয়েক বছরে দেশে হলি-আর্টিজেনের পর আর কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র‌্যাবের কারণে। স্বয়ং ইউএস স্ট্যাট ডিপার্টমেন্ট সেটা স্বীকার করেছে। কিছু লোক যারা আইন-শৃঙ্খলা পছন্দ করে না, যারা সন্ত্রাস পছন্দ করে কিংবা অন্য ধরনের ড্রাগ পছন্দ করে তারাই র‌্যাবকে পছন্দ করে না। কারণ র‌্যাবের তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটা খুবই দুঃখজনক।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের জানাবো, হয়তো ঠিকমতো তাদের জানাতে পারিনি। কারণ অনেকে একতরফা তথ্য পেয়েছে। যারা ওদেরকে পছন্দ করে না। সব দেশেই ল’ এনফোর্স এজেন্সিতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেরও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিল এখন খুব কম হয়েছে। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেজে সেটির তদন্ত হয়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি ক্ষেত্রে র‌্যাব অন্যায় করেছিল সেগুলোর জুডিশিয়াল প্রসেজে বিচার হয়েছে। ওদের শাস্তিও হয়। আর এই র‌্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা। তারা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ইউএসএ তাদের শিখিয়েছে তাদের রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট। কিভাবে মানুষের সাথে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারগেশন। এগুলো সব কিছু শিখিয়েছে আমেরিকা।
তাদের যদি রুলস অব অ্যাগেজমেন্টে কোনো কিছু দুর্বলতা থাকে, কোনো উইকনেস থাকে, এই রুলস অব অ্যাগেজমেন্টে যদি কোনো হিউম্যান্ট রাইট ভায়োলেট হয়, অবশ্যই সেখানে নতুন করে ট্রেনিং হবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তিবিশেষের উপর হঠাৎ করে এই যে স্যাংশনগুলো দেয়া হয়েছে সেটা কিন্তু খুব জাস্টিফাইড না।’

‘ওরা বলেছে, গত ১০ বছরে ছয়শত জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতিবছর এক লাখ মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয় পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। আর এসব তথ্য যাচাই-বাছাই না করে বড় বড় বিদেশী লোক না জেনে অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহ্বান করি। বলি আসেন, দেখেন, লোকজনের সাথে কথা বলেন, সৎ ঘটনা উদ্ঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন,’ বলেন মন্ত্রী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী ভিজয় দারিয়ানানি, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট, যুক্তরাজ্য প্রবাসী জেডআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসাইা, সুনামগঞ্জ সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement