২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২০ বছর ধরে একজনের চাকরি করছেন অন্যজন

- ছবি - সংগৃহীত

কারারক্ষী হিসেবে ২০ বছর যাবত সরকারী ভেতন ভাতা গ্রহণ করছেন এক ব্যক্তি, যাকে সরকার চাকরিই দেননি! তবে কীভাবে তিনি একটি স্পর্শকাতর স্থানে দীর্ঘ দিন চাকরি করলেন, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। সিলেটের কারা উপ মহাপরিদর্শকের এক চিঠিতে খোলাসা হতে চলেছে বিষয়টি। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মঈন উদ্দিনের নাম ব্যবহার করে এক ব্যক্তি ২০ বছর যাবত কারারক্ষী হিসাবে চাকরি করছেন। বিষয়টি জানাজানি হলেও সেই ব্যক্তি কোথায় আছেন তা জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবিগঞ্জ কারাগারের জেলারের আহবানে ভুয়া মঈন উদ্দিন সাড়া দিয়ে হবিগঞ্জ কারাগারে আসেননি।

জানা যায়, ২০০১ সালে কারারক্ষীর পদে নিয়োগের জন্য কুমিল্লায় গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার শাহজাহানপুর গ্রামের মঈন উদ্দিন খান। ফলাফল কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। পরে তিনি ফার্মেসীর ব্যবসা দেন স্থানীয় তেলিয়াপাড়া বাজারে। দীর্ঘদিন যাবত ফার্মেসীর ব্যবসাই করে আসছেন তিনি। গত ১২ আগষ্ট সিলেট কারাগারের উপ মহাপরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন একটি চিঠি প্রেরণ করেন শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে। চিঠিতে তিনি সিলেট কারাগারের কারারক্ষী শাহজাহানপুর গ্রামের মঈন উদ্দিন (কারারক্ষী নং ২১৮৬২) সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে চান।

শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান জানান, শাহজাহানপুর গ্রামের মঈন উদ্দিন নামের কেউ কারারক্ষী হিসাবে চাকরি করেন না। মঈন উদ্দিন নামের ওই ব্যক্তি ফার্মেসী ব্যবসায়ী। মঈন উদ্দিনের নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ চাকরি করার বিষয়টি জানিয়ে প্রকৃত মঈন উদ্দিন মাধবপুর থানায় একটি জিডি করেছেন গত ১৬ নভেম্বর। বিষয়টি তদন্ত করছেন হবিগঞ্জ কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভূইয়া। তিনি মঈন উদ্দিন নাম ব্যবহার করে চাকুরী করা ব্যক্তি ও শাহজাহানপুর গ্রামের মঈন উদ্দিনকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। শাহজাহানপুর গ্রামের মঈন উদ্দিন হাজির হলেও চাকরি করা ভুয়া মঈন উদ্দিন হাজির হননি।

তেলিয়াপাড়া এলাকার বাবুল মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, মঈন উদ্দিন খান এলাকার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তিনি ফার্মেসী ব্যবসায়ী। কারারক্ষী নন। তার নাম ব্যবহার করে যারা সরকারের স্পর্শকাতর স্থানে চাকরি নিয়েছে তার দায়ভার কেউ না কেউ বহন করতে হবে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement