২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রীমঙ্গলে রেলের জমি উদ্ধার অভিযানে যাওয়া এস্কেভেটরে দুর্বৃত্তদের আগুন

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভায়। - ছবি : নয়া দিগন্ত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেলের বেহাত হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অভিযানে যাওয়া একটি এস্কেভেটরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিভায়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের ভানুগাছ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, এস্কেভেটরে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। কারা এ আগুন লাগিয়েছে তা জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভানুগাছ সড়কের উত্তর পাশের রেলের মূল্যবান ২৮৭ শতক জমির উপর বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা ছিল রেল বিভাগের। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সেখানে একটি এস্কেভেটর আনা হয়। এস্কেভেটরটি রেলগেট পয়েন্টে আসামাত্র দুর্বৃত্তরা এস্কেভেটরের কেবিনে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। আগুনে এই যন্ত্রটির ড্রাইভার কেবিন ও নিচের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাচল জোনের সহকারী এস্টেট অফিসার বলেন, আজ ওই এলাকার রেলের প্রায় ২৮৭ শতক জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুতি নেয়া ছিল। অভিযানের কাজের জন্য এস্কেভেটর যন্ত্রটি একটি যানবাহনে করে সেখানে নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, আগুন লাগানোর ঘটনায় রেলের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে পাঠানো হয়েছে। তিনি এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবৈধভাবে দখলকৃত রেলের ভূমিতে বিভিন্ন স্থাপনা থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দখলকৃত ভূমি উচ্ছেদের কাজে ব্যবহার করার জন্য আনা ক্ষতিগ্রস্ত এস্কেভেটর সড়কের পাশে রাখা আছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গা বা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ দীর্ঘ ৩৮ বছর পর ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর রেলের শতকোটি টাকার এই ভূমি উদ্ধার অভিযান চালায় রেল বিভাগ। আইনশৃংখলা বাহিনীর শতাধিক সদস্যের সহায়তায় দুটি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এতে শহরের প্রভাবশালীদের দখলে থাকা ভানুগাছ সড়কের শতাধিক পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কৃষি নার্সারি প্রকল্প, অভিজাত রেস্টুরেন্ট, গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম, ফার্নিচারের শোরুম, সেলুন, চা পাতার দোকান, বাসা বাড়ি, ভ্যারাইটিজ স্টোর, ফার্মেসি, হার্ডওয়্যারের দোকান, ওয়ার্কসপ, ট্রান্সপোর্ট অফিস ছিল। এরপর রেল বিভাগের দেখভালের অভাবে এই জমিগুলো আবারো দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে দখলদাররা।


আরো সংবাদ



premium cement