১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শায়েস্তাগঞ্জে দুধ-ডিম-গোশতের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

শায়েস্তাগঞ্জে দুধ-ডিম-গোশতের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় - ছবি- সংগৃহীত

দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের প্রাণীজ পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ, ডিম ও গোশত বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জেও ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে এসব খাদ্যপণ্য। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর বাজার, পুরান বাজার, সুতাং, অলিপুর ও পুরাইকলা বাজারে ভ্রাম্যমাণ পিকআপে বিক্রি হচ্ছে দুধ, ডিম ও গোশত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম দিকে ক্রেতাদের এতে আগ্রহ কম থাকলেও ক্রমশ বাড়ছে ক্রেতার ভিড়।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দাউদনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাসের ডিম প্রতি হালি ৩৫ টাকা, গরুর দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগী প্রতিকেজি ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার দরের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হওয়া এসব পণ্য কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না স্বাস্থবিধি। অনেকটা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে কিনছেন পণ্য।

আব্দুস সালাম নামে এক ক্রেতা জানান, গাড়িতে করে যে পরিমাণ ডিম, দুধ ও গোশত নিয়ে আসা হয়েছে তা এক থেকে দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায়। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আরো পণ্য বাড়ানো দরকার।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় প্রতিনিধি সৌরভ পাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ৬৫০ পিস ডিম, আড়াইশ লিটার দুধ ও ৭০ কেজি গোশত বরাদ্দ পাই, যা বিক্রি করছি। স্বাস্থবিধি মেনেই পণ্য বিক্রির চেষ্টা করি।’

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রমাপদ দে বলেন, প্রথমে মানুষের খুব একটা আগ্রহ না থাকলেও এখন ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে ভিড় লেগেই থাকে। ১১ এপ্রিল থেকে পুরো উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র দুধ ডিম ও গোশত বিক্রি শুরু হয়েছে। টানা ৪০ দিন এ কার্যক্রম চলবে।


আরো সংবাদ



premium cement