২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আদালতে মামলা করলেন শাল্লার সেই ঝুমন দাসের মা

৭২ জনের নাম উল্লেখ, অজ্ঞাতনামা আসামি ২ হাজার
ফেসবুকে আপনের কটূক্তির জেরে শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। - ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন ফেসবুকে কটূক্তিকারী আটক ঝুমন দাস আপনের মা নিভা রানী দাস। মামলায় ৭২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোন শ্যামকান্ত সিংহার আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

আদালত মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে।

আদালতে দাখিলকৃত মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৬ মার্চ নিভা রানী দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপনের ফেসবুক পেজে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে স্ট্যাটাসের জেরে দিরাই ও শাল্লার কয়েকটি গ্রামের মানুষ দারাইন বাজারে সশস্ত্র বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী ঝুমনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরদিন গ্রামগুলোর হাজারো মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে এসে হামলা লুটপাট করে। ওইদিন তারা গ্রামের ৮৫টি ঘরে লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। এসময় ঝুমনের মা বাধা দিলে ঝুমনের স্ত্রীকে মারধরসহ তার শ্লীলতাহানীরও চেষ্টা করে হামলাকারীরা।

মামলায় তিনি নাচনি, চন্ডিপুর, ধনপুর ও কাশিপুর গ্রামের ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে অন্তুত ২ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো: আহমদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াগাঁও গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা এ হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর হাতে সহায়তা তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবীর ইমনসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল