১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শায়েস্তাগঞ্জে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ পৌরবাসী

শায়েস্তাগঞ্জে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ পৌরবাসী - ছবি : সংগৃহীত

শীতের রেশ এখনো কাটেনি। গরম সবে শুরু। এরই মাঝে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরবাসী। ঘরে বাইরে একাধারে সর্বত্রই মশার আক্রমণে দিশেহারা সবাই। বিশেষ করে জলাশয় ও পৌরসভা নির্মিত খোলা নর্দমার আশপাশ দিয়ে চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দেখে মনে হতে পারে, মানুষ যেন মশার রাজ্যে বাস করছেন। কেউ আবার এ মশার আক্রমণে ডেঙ্গুজ্বরের আশঙ্কা করছেন। এতে গত বছরের ন্যায় করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন এলাকাবাসী।

এ দিকে মশক নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা নেই।

সরেজমিনে পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা ঘুরে দেখা যায়, স্থানে স্থানে নোংরা পানির নর্দমা ও খোলা ড্রেনগুলোতে ভন ভন করে উড়াউরি করছে মশার ঝাঁক। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার মশার ঘনত্ব অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন অনেকে।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার উদয়ন আবাসিক এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর শীত মৌসুম আসার পর থেকে এ পর্যন্ত মশা নিধনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারে না মশার যন্ত্রণায়।

পৌর এলাকার নিজগাঁও মহল্লার বাসিন্দা ফজর আলী জানান, শীতের শেষে গরমকালের শুরুতেই মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ সবাই। পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে কাউকেই কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দাউদ নগর মহল্লার চৌধুরী জুনাইদ বলেন, ‘রাতেও মশা। দিনেও মশা। এ কোন সর্বনাশা। ঘরের ভেতরে, বাড়ির আঙ্গিনায়, অলিগলি- কোথায় নেই মশার যন্ত্রণা? মশারপাল এখন কামড়ানোর পাশাপাশি চোখ-মুখ দিয়ে ঢুকতে চায়।’

‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেক বড় আকারের মশার কামড়ে শরীরে চুলকানি হয়। এক দিকে ডেঙ্গুর ভয় অন্য দিকে করোনা, এ নিয়েই দুর্ভাবনা আছি আমরা,’ বলছিলেন চৌধুরী জুনাইদ।

একইভাবে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বড়চর, মহলুল সুনাম, দক্ষিণ বড়চর, বিরামচর, সাবাসপুর, উবাহাটা, সুদিয়াখলা, চরনুর আহমদ ও দাউদ নগরের বাসিন্দারা মশার উপদ্রবে বিপাকে থাকার কথা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘মশার উৎপাতের বিষয়টি নজরে এসেছে। খুব দ্রুত মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিঠানো হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement