২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ছাতকে অবৈধ স্থাপনা : উচ্ছেদে অনিয়মের অভিযোগ

-

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের পাশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার অভিযোগ করে এ সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জ-সিলেট সহাসড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি ও জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন।

সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজোতি পাবলিক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির আহ্বায়ক ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের গোবিন্দগঞ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের লাগোয়া মৌজার ৬২ নম্বর দাগে সরকারি খাল। সড়কের লাগোয়া সেই খালটিতে অবৈধ স্থাপনা। সরকার ও সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্ত হচ্ছে ১০ মিটারের মধ্যে স্লোপ থেকে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। কিন্তু গত তিন দিন ধরে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জের সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে উচ্ছেদ অভিযানের কার্যক্রম চলমান থাকলেও এখানে ধনী ও বিত্তশালীরা যারা অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন তাদের অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি। বরং যারা ছাউনি দিয়ে মাছ ও সবজি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু সড়কের পাশে এক নম্বর দাগসহ ৬২ ও ৩৬ নম্বর দাগ একটি হলো খাল একটি হলো রাস্তার পাশ এগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের ১,৫৪৬ নম্বর রিট মোকদ্দমায় সুস্পষ্ট বলা আছে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো ধরনের অবৈধ স্থাপনা থাকবে না, তা উচ্ছেদ করার বিধান থাকলেও এই বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে একটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর লাগোয়া যে জায়গাটুকু অবৈধভাবে দখলে আছে খাল দখলের কারণে ময়লা বাগার হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিচ্ছে সওজের লোকজন। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে এসব স্থাপনা উচ্ছেদে সওজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বারবার ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের নামে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত স্থাপনা উচ্ছেদে সওজ কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। এতে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে যানজট লেগেই থাকছে।

সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ ও সরকারি আদেশ প্রতিপালন না করায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানানো হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিএনজি চালিক অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আফতাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. জমসেদ আলী।


আরো সংবাদ



premium cement