২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রীমঙ্গলে পুলিশি বাধায় বিএনপির সম্মেলন পণ্ড

শ্রীমঙ্গলে পুলিশি বাধায় বিএনপির সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। - ছবি : নয়া দিগন্ত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান সড়কের পাশে আয়েজিত বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনটি মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

করোনাভাইরাসে জনসমাগম এড়াতে ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় সম্মেলনে বাধা দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব নূরে আলম সিদ্দিকী বলছেন, তারা ২৪ জানুয়ারি এ সম্মেলন উপলক্ষে অনুমতি নিতে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি আবেদন করেছেন।

নূরে আলম সিদ্দিকী আরো জানান, ‘২৪ জানুয়ারি আবেদনে উল্লেখ করা হয়- আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এজন্য জেলা পরিষদের অডিটরিয়াম বরাদ্দ করা হয়েছিল। অথচ দুই দিন অতিবাহিত হলেও হলের চাবি দেয়া হয়নি। পরে শহরতলীতে সম্মেলনের স্থান নির্ধারণ করা হয়।’

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজি মুজিব) বলেন, ‘সম্মেলন উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পুলিশ সম্মেলনের চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে, যাতে নেতারা সম্মেলনে যোগ দিতে না পারেন।’

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, ‘জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির ফোন করে বিএনপির সম্মেলনে উপস্থিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।’

তবে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ন কবির বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সভা-সমাবেশের উপর জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সম্মেলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় পুলিশের কোনো অনুমতি লাগে বলে কারো জানা নেই। করোনার অজুহাতে সম্মেলন বানচাল করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল সভা-সমাবেশ করলে তখন করোনার অজুহাত দেখানো হয় না।’

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুছ ছালেক বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ও সংক্রমণরোধ আইন অনুযায়ী সব ধরনের জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আয়োজকরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কোনো অনুমতি নেননি।’


আরো সংবাদ



premium cement