১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বপ্নের ঠিকানা পাচ্ছেন ৫৫ পরিবার

স্বপ্নের ঠিকানা পাচ্ছেন ৫৫ পরিবার - নয়া দিগন্ত

রঙিন টিনে স্বপ্নের ঠিকানা পাচ্ছেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৫৫ পরিবার। তাদের চোখে-মুখে এক অন্যরকম উচ্ছাস, যেন অধরা স্বপ্নের হাতছানি ধরা দিয়েছে তাদেরকে।

সহায় সম্বলহীন জহুরা বিবি অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনমতে দিনাতিপাত করেন। দিনশেষে মাথা গোজার নিজের কোন জায়গা ছিল না। রাস্তার পাশে কুঁড়ে ঘর বানিয়ে দিন পার করছিলেন। ঘর পাচ্ছেন নিজের নামে। সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে নাম এসেছে তারও।

নগেন্দ্র সরকার স্ত্রী নেই, এক সন্তান নিয়ে তিনি দিনমজুরের কাজ করে কোনমতে সংসার চালাতেন। নেই নিজের কোন জমি। অন্যের বাড়িতে ঘর বানিয়ে থাকতেন তিনি। তিনি ও মাথাগোজার ঠাই পাচ্ছেন।

জাহেরা বেগম নামে এক নারী বলেন, মানুষের বাড়িতে থাকতাম। শেখ হাসিনার কল্যাণে নিজের একটি ঘর হচ্ছে তাও আবার পাকা। যা আমার কাছে স্বপ্ন ছাড়া কিছুই না।

নানু মিয়া বলেন সারা জীবন স্বপ্ন দেখতাম নিজের ঘর হবে। কিন্তু পুরণ করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর বৌদলতে স্বপ্ন পুরণ হইতাছি। শেখের বেটির জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তার হায়াত আরো বাড়িয়ে দেন।

শুধু তারাই নন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এরকম ৫৫ টি পরিবার পাচ্ছে তাদের স্থায়ী ঠিকানা। যাদের মাথা গোঁজার কোন ঠাঁই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন, ঘর পেয়ে তারা খুব খুশি।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘জমি নেই ঘর নেই গৃহহীন দরিদ্র শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ৫৫টি অসহায় পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জানুয়ারি (শনিবার) ঘরগুলো গৃহহীন ও দরিদ্র পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।

উপজেলা প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার দিইটি ইউনিয়নের মধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের লাদিয়া গ্রামে ১৭ টি ও আলাপুর গ্রামে ২৩ টি। ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নে কেশবপুর গ্রামে ১৫ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার ৫৫ সহায় সম্বলহীন পরিবার পাচ্ছে এ স্বপ্নের ঠিকানা। বারান্দাসহ সাড়ে ১৫ ফুট প্রস্থ ও সাড়ে ১৯ ফুট দৈর্ঘ্য প্রতিটি ঘর, রান্নাঘর ও টয়লেট নির্মাণ বাবদ এক লাখ একাত্তর হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত গৃহ ও ভুমিহীনদের ঘরগুলো বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যাদের কোন সহায় সম্বল নাই তারাই মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement