২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শায়েস্তাগঞ্জে বন্য শূকরের উপদ্রব, নষ্ট করছে জমির পাকা ধান

ক্ষতিগ্রস্ত একটি ফসলি ক্ষেত - ছবি : নয়া দিগন্ত

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং এলাকার কৃষকরা বন্য শূকরের উপদ্রবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জানা গেছে, শূকরের পাল কয়েক মাস যাবৎ একের পর এক জমির পাকা ধান নষ্ট করছে। এদের হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য কৃষকরা রাতের বেলা প্রতিটি জমিতে মশাল জ্বালিয়ে রাখেন। তবুও রক্ষা করা যাচ্ছে না জমির ফসল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই, পুরাসুন্দা ও লাদিয়া গ্রামে এদের উৎপাত সবচেয়ে বেশি। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে গ্রামবাসী। রাত নেমে এলে পাহাড় থেকে খাদ্যের সন্ধানে দল বেঁধে লোকালয়ে হানা দেয় শূকররা। ধানক্ষেতে এসে হানা দিয়ে জমির ফসল নষ্ট করে ফেলে।

এদিকে, কৃষকদের শেষ সম্বল পাকা ধান হারিয়ে অনেক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শূকর এর আগেও কৃষি জমির নানারকম ফসলাদি সাবাড় করেছে। বন্য শূকরের ভয়ে রাতে শিশুরা ঘর থেকে বের হতে পারে না। অনেক সময় গ্রামে ঢুকে খাবার না পেয়ে মানুষের ঘরে ঢোকার চেষ্টাও করে থাকে।

উপজেলার সুরাবই গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ‘বন্য শূকর খুব হিংস্র প্রাণী। এদের থেকে বাঁচার পথ দেখছি না।’

একই গ্রামের মো: তওহিদ মিয়া বলেন, ‘গ্রামের পাশে পাহাড় থাকায় এদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এদের জন্য আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি আমরা। এর মধ্যে আমার দুই একর পাকা ধান নষ্ট করেছে। এমনকি ধানের খড়ও অবশিষ্ট রেখে যায়নি শূকরের পাল।

একই গ্রামের হেলিম মিয়া বলেন, ‘আমি বর্গা জমি চাষ করি। আমার দেড় একর পাকা ধান ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি এখন কী খেয়ে বেঁচে থাকব?’

শূকরের পাল সুতাং অঞ্চলে কমপক্ষে ৫০ একর পাকা ধানের ক্ষতি করেছে বলে জানা গেছে।

হবিগঞ্জ জেলা বন বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা বন কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, হয়তো বনে খাদ্য কমে গেছে, তাই তারা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। এদেরকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিতে হবে। এদেরকে রক্ষা করার জন্য সরকার থেকে আবার নির্দেশ রয়েছে। তবুও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য তিনি এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement