এমসি কলেজে গণধর্ষণ : আদালতে ওই রাতের বর্ণনা দিয়েছেন গৃহবধূ
- সিলেট ব্যুরোর
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:১৪, আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:১৮
সিলেট সরকারি এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে রোববার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনই ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। গ্রেফতার এড়াতে একজন ছদ্মবেশ ধারণ করেন।
গণধর্ষণ ঘটনার শিকার তরুণী গৃহবধূ রোববার আদালতে ওই রাতের ঘটনার জবানবন্দী দিয়েছেন। সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ হোস্টেল সুপার ও অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছে। সিসিক মেয়র ও কাউন্সিলাররা গণধর্ষনের প্রতিবাদে গতকাল পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে রোববার ভোরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি খেয়াঘাট থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সাইফুর সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে। ধর্ষক সাইফুরকে ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসএমপির শাহপরাণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ছাতক থানা পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সাইফুর গ্রেফতার এড়াতে তার মুখের দাঁড়ি কেটে ফেলে। তিনি সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গ্রেপ্তারের পর সাইফুর পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে।
এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনার আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা সীমান্তবর্তী মনতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। দুপুর ১২টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অর্জুন লস্কর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে। পুলিশ সূ্রে জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনার পর অর্জুন পালিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে আশ্রয় নেন। সেখানে মনতলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জুনের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা