২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ

অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, এখনো ধরা পড়েনি ছাত্রলীগের ছয় ধর্ষক

এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ - নয়া দিগন্ত

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয় ক্যাডার গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এক দম্পতিকে ছাত্রাবাসে ধরে এনে স্বামীকে বেঁধে তার সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর ওই দিন মধ্যরাতে ছাত্রাবাসটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এই জঘন্য ঘটনার পর শুধু সিলেট নয়, সারাদেশে নানা মহল থেকে ধিক্কার আর আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।

ছাত্রলীগ ক্যাডারদের ধর্ষণের শিকার তরুণী বধূ এখন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ছাত্রাবাসটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে তারা। পুলিশ জানায়, অভিযানকালে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি রামদা, দু’টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়। শাহপরান থানার এসআই লিপটন পুরকায়স্থ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, যাদের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে। এদিকে ছাত্রলীগ নেতাদের অপকর্মের প্রতিবাদে ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার দুপুরে এমসি কলেজ ও সংলগ্ন সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্ররা সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষাভ করেছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে এক দম্পতি প্রাইভেট কারে সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এসময় ছাত্রলীগের ছয় ক্যাডার তাদের জিম্মি করে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে মারধরের পর তারা স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর স্বামী।

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় ছয়জন সরাসরি জড়িত বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী শাহ মো: মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান (২৮), ছাত্রলীগ নেতা তারেক (২৮), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান মাছুম (২৫)। আসামি সাইফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায়, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে, রনির বাড়ি হবিগঞ্জে ও তারেক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জ্যোর্তিময় সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছাত্রাবাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস ছাড়ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না

সকল