২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শায়েস্তাগঞ্জে ট্রেনের টিকেট যেন সোনার হরিণ

শায়েস্তাগঞ্জে ট্রেনের টিকেট যেন সোনার হরিণ -

ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মজীবীরা। অনেকেই আবার ছুটি বৃদ্ধি করে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে কয়েকদিন পর যাত্রা করবেন।

বাংলাদেশে সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াতের বাহন হচ্ছে রেলপথ। করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইনের মাধ্যমে সব টিকিট বিক্রি হচ্ছে এখন। এবার ঈদের আগাম টিকিট ক্রয়ের জন্য অ্যাপ ব্যবহার করলেও সার্ভার ডাউন থাকায় বেশ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, এবারের মতো অবস্থা থাকলে মানুষ অনলাইনে টিকিট ক্রয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

সরজমিনে টিকিট প্রত্যাশী ভুক্তভোগী কয়েকজন যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই রেলের অ্যাপ রেলসেবা কাজ করছে না। ঈদে ট্রেনের টিকিট বিক্রির একদিন আগে থেকেই অ্যাপে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। যদিও বলা হয়েছিল, এবার একসাথে লক্ষাধিক মানুষের হিট অ্যাপ নিতে পারবে। গত ঈদে অ্যাপ ব্যবহারে চরম ভোগান্তি আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছিল রেলওয়ে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের (সিএনএসবিডি) বিরুদ্ধে। সিএনএসবিডি ২০০৭ সাল থেকে রেলের টিকিটিং পদ্ধতি পরিচালনা করছে। অনলাইন ও অ্যাপের কাজও তারাই করছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবার ই-টিকিটিং সিস্টেমের অবস্থার উন্নতি হবে।

ইয়াসির আরাফাত নামে এক যাত্রী জানান, সকাল ৯টার পর থেকে এই অ্যাপের সাথে তিনি যুদ্ধ করছেন। আরেকজন বলেছেন, একঘণ্টা চেষ্টা করে অবশেষে টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু অ্যাপ ঠিকঠাক কাজ করছে না। আরেকজন ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখেন সাইট সার্ভার ডাউন হয়ে আছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে কাটা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অসাধু টিকিট বিক্রেতারা টিকেটের মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে টিকিট বিক্রি করছে। ২১৫ টাকার টিকেট ৫ শ’ টাকা, কোন কোন ক্ষেত্রে তা ৮শ’ থেকে ৯ শ’ টাকাও নেয়া হচ্ছে। ভোর ৬টা থেকে শুরু করে রেল সেবা অ্যাপস থেকে টিকেট কাটতে হয়। অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া টিকেট কাটতে পারা সহজ নয়। এই সুযোগে কম্পিউটার দোকানিরা টিকেট কেটে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। আবার অনেক যাত্রী টিকিট না পেয়ে বিনাটিকেটেই ভ্রমণ করেছেন।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এডিএম সাইফুল ইসলাম টিকেটের বাড়তি দাম সম্পর্কে বলেন, এখন আমাদের কিছু করার নাই। আমাদের কাউন্টার থেকে এখন কোন টিকিট বিক্রি হয় না। যাত্রীরা ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটেন।

তিনি জানান, সবজায়গাই রেল স্টেশনের পাশে কম্পিউটারের দোকান খুলে বসে আছেন, তারাই এখন টিকেট কাটেন। তারা টিকিটের দাম বেশি নিলে আমাদের কিচ্ছু করার নেই। অনলাইনে টিকিট কেনার ভোগান্তির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত সকালে সার্ভার কিছু সমস্যা করে, কারণ এ সময় হাজার হাজার মানুষ একসাথে অ্যাপস ব্যবহারের চেষ্টা করেন, সকাল বেলা ছাড়া সার্ভার সমস্যা করে না। টিকেট ভোগান্তির কারণে টিকিট না পেয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ শ’ যাত্রী বিনা টিকেটে যাত্রা করেন। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি।


আরো সংবাদ



premium cement
চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত

সকল