মৌলভীবাজারে লবণ সঙ্কট, চামড়া নদীতে ফেলে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
- মৌলভীবাজার সংবাদদাতা
- ০২ আগস্ট ২০২০, ২১:১৯
লবণ ও ছালাই কর্মী সঙ্কটে মৌলভীবাজারে কোরবানির পশুর চামড়া ব্যাপকভাবে পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা শত শত পিস গরু ও খাসির চামড়া নদীতে ফেলে দিচ্ছেন। যার ফলে বসায়ীরা এবার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চামড়া ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর জেলার সাতটি উপজেলায় অর্ধলাখ গরু কোরবানি দেয়া হয়েছে।
বালিকান্দি ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শওকত আলম জানান, গত দু‘দিনে বালিকান্দি চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রায় সাত হাজার গরুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া লবণযুক্ত আরো ১২ হাজার চামড়া চামড়ামিলে সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত তার অর্ধ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে এখনো বিশ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ী মো: ছুরুক মিয়া জানান, পচে নষ্ট হয়ে যাওয়াতে এরমধ্যে একশো পিচ গরু চামড় রোববার মনু নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। একেক পিচ গরুর চামড়া একশ’ থেকে আড়ইশ’ টাকা করে কেনা হয়েছিল। একমাত্র লবণ সঙ্কট ও প্রচণ্ড গরমের কারণে এসব চামড়া পঁচে গেছে।
এছাড়া সাজু মিয়া ও শাহ আলম জানালেন, লাভের আশায় সাড়ে চারশ’ পিস গরুর চামড়া কিনেছিলাম। প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় দেড়শ’ পিস চামড়া পঁচে গেছে। লবণও দিতে পারিনি। বাধ্য হয়ে পঁচে যাওয়া দেড়শ’ পিস নদীতে ফেলে দিতে হয়েছে।
তারা বললেন, লাভ তো দূরের কথা। আসল উঠাতে পারবে কিনা- এ নিয়ে চিন্তায় আছি। গতবারও প্রচুর লোকসান হয়েছে। এবারও লোকসান গুনতে হবে।
চামড়া ব্যবসার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত মো: এলিন মিয়া। তিনি জানালেন, ট্যানারির মালিক আমাদের আগের পাওনা টাকা দেয়নি। আড়ৎদাররা দেয়নি। এমন অবস্থায় প্রশাসনের ন্যায্যাদাম দেয়ার আশ্বাসে ধার দেনা করে কিছু পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ করেছি। এখন লাভ-ক্ষতি আল্লাহ জানেন। এদিকে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা লাভের আশায় বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিক্রি করতে না পাড়ায়, শহরের পৌরবাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে চামড়া ফেলে রাখতে দেখা গেছে।
গরুর চামড়ার দাম কিছু পাওয়া গেলেও খাসির চামড়া কিনতে কেউ আগ্রহী হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, চামড়া নষ্ট ও নদীতে ফেলে দেয়ার কোনো অভিযোগ পাইনি। এছাড়া চামড়া সংরক্ষণে লবণ সঙ্কট দেখা দিলে পৌরসভা চেম্বার ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লবণ সরবরাহের প্রযোজনীয় উদ্যোগের নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা