২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শায়েস্তাগঞ্জে ভুতুড়ে বিল আর লোডশেডিংয়ে জনজীবনে ভোগান্তি

শায়েস্তাগঞ্জে ভুতুড়ে বিল আর লোডশেডিংয়ে জনজীবনে ভোগান্তি -

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। অভিযোগ রয়েছে এ করোনাকালেও ভুতুড়ে বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন জনগণ। কারো কারো গতানুগতিকের চেয়ে দুইগুণ তিনগুণ বিল এসেছে। ফলে বিপাকে আছেন অনেক গ্রাহক।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরের বাসিন্দা রবিন মিয়া জানান, গত মাসে তিনি প্রতিদিন ৪টায় দোকান লাগিয়ে চলে গেছেন, অথচ তার বিল এসেছে দ্বিগুণ। আবার কেউ কেউ বলছেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মিটারের রিডিং না নিয়ে অফিসে বসেই মনগড়া রিডিং নির্ধারণ করেন তাই অতিরিক্ত বিল আসে। বেশ কিছুদিন থেকে বিদ্যুৎ গেলে আসতে প্রায় ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগছে। আবার কখনো রাতব্যাপি কখনো দিনব্যাপি চলে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা।

ইদানিং এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন ৪-৫ বার লোডশেডিং হয়ে থাকে। রাত্রের বেলা, ভোর রাত, কিংবা প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গ্রীষ্মকালে দিনে বিদ্যুতের এই সমস্যার কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অসুস্থ রোগিরা আরো বেশি অসুস্থ হচ্ছেন।

এছাড়া বিদ্যুতের এই বিভ্রাটের কারণে চরম ক্ষতির সম্মুখীন এই উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান-পাটসহ স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। প্রায় সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করতে পারছে না। এবং অফিসের সকল কাজও বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে।

বিদ্যুতের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারছে না সাধারণ জনগণ ও এলাকার অনেক দরিদ্র শ্রমিকেরা। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে তারা ব্যাটরি চার্জ দিতে পারছেন না। বিদ্যুতের এই সমস্যা সমাধান না হলে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা পড়বেন মহাসঙ্কটে।

বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা চালিয়ে যারা জীবন যাপন করেন তাদের অবস্থা আরো করুন আকার ধারন করেছে। আবার বিদ্যুৎ না থাকলে মোবাইলে থাকে না কোন ইন্টারনেট। ফলে, জরুরি কাজও সম্পাদন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। করোনাকালে নেয়া যায় না দেশের খবরা খবর। শায়েস্তাগঞ্জের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে প্রায়ই দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে। আবার কেউ কেউ পল্লী বিদ্যুৎ এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার জন্য ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোতাহের হোসেন জানান, আমাদের একটি পাওয়ার ট্রান্সমিটার নষ্ট ছিল সেজন্য কিছু লোডশেডিং হয়েছে। পাওয়ার ট্রান্সমিটারটি মেরামত করা হয়েছে। লোডশেডিং অনেকাংশেই কমে যাবে। আর ভতুড়ে বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, করোনায় আমাদের জনবল সংকট ছিল, সবাই ঠিকমত রিডিং লিখে আনতে পারেননি। যাদের অতিরিক্ত বিল এসেছে অভিযোগ জানালে তাদের বিল অবশ্যই সংশোধন করে দেয়া হবে বা পরবর্তী মাসে সমন্বয় করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement