শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ফিরেছেন ২০ বাংলাদেশী, ফেরৎ গেছে ১২০ ভারতীয় নাগরিক
- আবু তাহের রাজু, বিয়ানীবাজার
- ২৮ মে ২০২০, ১৪:২৪, আপডেট: ২৮ মে ২০২০, ১৪:৫৩
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে চলমান লকডাউনের কারণে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ২০ বাংলাদেশি বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ১২০ জন ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের নির্দেশনায় একটি বিশেষ আবেদন সাপেক্ষে তাদেরকে নিজেদের দেশে ফেরার সুযোগ করে দেয়া হয়। এসময় সেখানে বিজিবি, কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইমিগ্রেশন সুবিধা বন্ধ থাকায় ভারতের বিভিন্ন এলাকায় এসব বাংলাদেশি নাগরিকরা আটকে পড়েছিলেন। এর আগে তারা পড়ালেখা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চিকিৎসাসহ নানা কারণে ভারতে গিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা ও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়ে বাড়ি ফেরৎ যাবার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে তাদের শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
একইভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ১২০ ভারতীয় নাগরিক শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ফিরে গেছেন। তবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি ভারত সীমান্ত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখবেন বলেও জানা গেছে।
ভারতের এনআইটি শিলচরে অধ্যয়নরত নাইমুল হক নামের এক বাংলাদেশি নাগরিক বলেন, গত ২০ মার্চ থেকে শিলচরের একটি রেস্টহাউজে আমিসহ আরও কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী লকডাউনে ছিলাম। আমাদের সকলের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি পাওয়ায় আমরা দুই মাস ৮ দিন পর বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। তিনি বলেন, বন্দরের কর্মকর্তারা আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রথম ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারতে ফেরৎ যাওয়া আয়শা সিদ্দিকা নামের এক ভারতীয় নাগরিক বলেন, ‘প্রায় আড়াই মাসের মতো সময় হয়ে গেল আমি ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশে এসেছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সমস্যা ছাড়াও পরিবারের সাথে খুব একটা যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। এ নিয়ে তারাও খুব দুশ্চিন্তায় ছিল। পরে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি পাওয়ায় আমরা দুই মাসাধিক পর ভারতে ফিরে যাচ্ছি। তিনি বলেন, শেওলা স্থলবন্দর থেকে সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে আমাদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ভারতে ফেরৎ পাঠানো হচ্ছে। এখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন ভারত সীমান্তের কর্মকর্তারা আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ দেবেন।
স্থলবন্দরের মেডিক্যাল টিমের দায়িত্বে থাকা বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার নয়ন মল্লিক বলেন, বৃহস্পতিবার ভারত থেকে দেশে ফেরা ২০ বাংলাদেশি নাগরিককে শেওলা স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গের উপস্থিতি মিলেনি। পাশাপাশি তারা সকলেই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
এদিকে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলমান লকডাউনের কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া ১২০ ভারতীয় নাগরিকের দেশের ফেরৎ যাবার সবধরনের অনুমতি মেলায় প্রাতিষ্ঠানিক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা