১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিয়ানীবাজার হাসপাতলে কমেছে রোগী, বেড়েছে হটলাইন সেবা

বিয়ানীবাজার হাসপাতলে কমেছে রোগী, বেড়েছে হটলাইন সেবা - সংগৃহীত

বিয়ানীবাজারে করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঘরমুখো সকল শ্রেণীপেশার মানুষ। চিকিৎসাসেবা নিতেও তারা হাসপাতালে যাচ্ছে না। এতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যার অভাবে প্রতিদিন যেখানে রোগীদের মেঝেতে রেখেও সেবা দিতে হতো, সেখানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭জন রোগী। ওয়ার্ডের সবগুলো বেডই খালি পড়ে আছে। বহির্বিভাগও পুরো ফাঁকা। করোনা আতঙ্কের আগেও বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪-৫ শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিতেন। তবে অনেকেই হাসপাতালের হটলাইন নম্বরে ফোন করে সেবা নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

সরেজমিনে হাসপাতাল এলাকায় দেখা যায়, হাসপাতালের বাইরে সিএনজি অটোরিকশার ভিড় নেই। রোগীর স্বজনদেরও আনাগোনাও খুব একটা দেখা যায়নি। বলতে গেলে পুরো হাসপাতাল চত্বরে বিরাজ করছে ভুতুড়ে পরিবেশ। হাসপাতালের ভেতরটাও প্রায়ই একই রকম। বহির্বিভাগে কাউকে সেবা নিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি। জরুরি বিভাগেও আগের মতো তাড়াহুড়া করে কাউকে চিকিৎসা দিতে দেখা যায়নি। রোগীর নামের জিস্ট্রি খাতাও বেশি ওল্টানো প্রয়োজন হচ্ছে না দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্সদের। তবে হাসপাতালের সময় কমিয়ে আনা হলেও নির্ধারিত জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালনে হাসপাতালেই অবস্থান করছেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশি জরুরি না হলে কেউ ঘর থেকে বের না হওয়ায় ভালো। বাড়িতে অবস্থান করে সেবা নেওয়া যাবে- এমন অসুখের জন্য হাসপাতালে এসে ভিড় করা ঠিক হবে না। সবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হটলাইন নম্বর চালু আছে। সেখানে যোগাযোগ করে সেবা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

এদিকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন একটি ওয়ার্ড ও দুটি কেবিন প্রস্তুত রেখেছেন দায়িত্বশীলরা। প্রাথমিক অবস্থায় সেখানে ওয়ার্ড ও কেবিন মিলে ১১টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেবা দিতে চিকিৎসকদের জন্য রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আসা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সুরঞ্জাম (পিপিই)। তবে এখন পর্যন্ত আইসোলেট করার মতো কোন রোগীর সন্ধান না পাওয়ায় অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন।

পাশাপাশি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে (ইমার্জেন্সি) দিবারাত্রি একটি হটলাইন নম্বর (০১৭৩০-৩২৪৭৫০) চালু করা হয়েছে। কারো মধ্যে করোনা ভাইরাসের ন্যূনতম লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ওই হটলাইন নম্বরে কল করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী।


আরো সংবাদ



premium cement