১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেন দুর্ঘটনায় হবিগঞ্জের ৭ জন নিহত

- ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত খবরে হবিগঞ্জের শিশুসহ সাতজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের পরিবারের মধ্যে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

নিহতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মদনমোড়ক গ্রামের আয়ুব হোসেনের ছেলে আল আমিন (৩০), টাম্বুলিটুলা গ্রামের সোহেল মিয়ার কন্যা আদিবা আক্তার সোহা (২), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আনুয়ারপুর গ্রামের হাসান মিয়ার পুত্র আলী ইফসুফ (৩০), বহুলা গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত (১২), চুনারুঘাট উপজেলার পীরের গাও গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের পুত্র আশিকুর রহমান (২৪), উলুকান্দি গ্রামের ফটিক তালুকদারের পুত্র রুবল তালুকদার (২২) ও সুনারুবাগ উপজেলার আহমদাবাদ গ্রামের পেয়ারা বেগম (৬৫)।

দুর্ঘটনায় নিহত আদিবার আহত পিতা সোহেল মিয়া, মা নাজমা আক্তার, ভাই নাফিজকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় নিহত রুবলের বন্ধু মুন্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও সুমন, নাসিম, ফারুককে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি বাকী আহতরা হলেন, নবীগঞ্জের লোকমান (২২), আফছা (১৪), আছমা (২৪), তাহুল (১), হবিগঞ্জ সদরের মোখলেছ (৪৩), ধলাই মিয়া (৬৫), রাকিব (২৮), আবুল কালাম (৫২), রায়হান (২০), চুনারুঘাটের রাজন (২৮), জনি (২৪) ও বানিয়াচংয়ের মীম (৭)।

তারা সবাই টিকেট কেটে ১১ নভেম্বর দিবাগত রাতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন ট্রেনে উঠে গন্তব্যে রওনা দেন। ভোর রাতে তারা ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হন।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন সূত্র জানায়, জংশন থেকে শতাধিক যাত্রী গন্তব্যে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামী উদয়ন ট্রেনে উঠেন। পথিমধ্যে কসবায় গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আরো সংবাদ



premium cement