১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভোটে খারাপ, সভাপতি পরিবর্তন হচ্ছে বিজেপিতে!

ভোটে খারাপ, সভাপতি পরিবর্তন হচ্ছে বিজেপিতে! - ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজেপির স্লোগান ছিল '৪০০ পার'। মিলেছে মাত্র ২৪০। এই আবহে জোট শরিকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে নয়া সরকার গঠন করেছে বিজেপি। তবে এই ফলাফলের জেরে দলের 'অপরাজেয় ভাবমূর্তি'তে লেগেছে জোর ধাক্কা। তাই হেরে গিয়েও উৎফুল্ল বিরোধীরা।

এই আবহে বিজেপিতে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। আর এর ইঙ্গিত মিলেছে মোদি মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেই। রোববার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডাকে। এই আবহে বিজেপির 'এক ব্যক্তি, এক পদ' নীতিতে সাংগঠিক রদবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সুকান্ত মজুমদারও এবার মন্ত্রী হয়েছেন। তাই রাজ্যেও সভাপতি পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সভাপতি হিসেবে নড্ডার মেয়াদ জানুয়ারিতে শেষ হলেও লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে জাতীয় কর্মসমিতি তার মেয়াদ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রথম মোদি সরকার জমানাতেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন জেপি নড্ডা। তখন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের দায়িত্ব ছিল তার ওপরে। এরপর সভাপতি হিসেবে অমিত শাহের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে দলের কার্যকরী সভাপতি হয়েছিলেন নড্ডা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে পূর্ণ সময়ের জন্য দলের প্রধান হিসাবে দায়িত্বে আসেন নড্ডা। তবে এবার ফের তিনি মোদি মন্ত্রিসভায় শামিল হলেন। এই আবহে বিজেপি নয়া সর্বভারতীয় সভাপতি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে দলের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, সাবেক রাজ্যসভার এমপি ওমপ্রকাশ মাথুর এবং দলের ওবিসি মোর্চা প্রধান কে লক্ষ্মণের নাম ঘুরপাক খাচ্ছে সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে। এদিকে এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের শীর্ষ স্থানীয় এক নেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় নির্বাচন আছে সামনে। এই আবহে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে কিছু পরিবর্তন আসবে। অনুরাগ ঠাকুর ও স্মৃতি ইরানিকে দলের পদ দেয়া হতে পারে।'

এদিকে লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফল হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার রাজ্য সভাপতি বদলের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি। সুকান্তকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করে সেই রাস্তাই সুগম করা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে বসেন সুকান্তবাবু। তার তিন বছরের কার্যকাল শেষ হচ্ছে জুনেই। এদিকে সুকান্ত মন্ত্রী হওয়ায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি কে হতে চলেছেন তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement