ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্বে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ, বিভিন্ন স্থানে সঙ্ঘাত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ জুন ২০২৪, ১৯:৫৭, আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ১৯:৫৮
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ চরণে শনিবার দেশের অন্যান্য রাজ্যে মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা উত্তর, দক্ষিণ, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রসহ পশ্চিমবঙ্গের নয়টি কেন্দ্রের একাধিক বুথ।
পহেলা জুন ভোট গ্রহণ হয়েছে সাতটি রাজ্য, একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৫৭টি কেন্দ্রে। এই তালিকায় রয়েছে বিহার (৮টি আসন), হিমাচল প্রদেশ (৪টি), ঝাড়খণ্ড (৩টি), ওড়িশা (৬টি), পাঞ্জাব (১৩টি), উত্তরপ্রদেশ (১৩টি), পশ্চিমবঙ্গ (৯টি) ও চণ্ডীগড়ে (১টি)। ওড়িশার ৪২টি বিধানসভা কেন্দ্রেও একইসাথে নির্বাচন চলছে
লোকসভা ভোটের অন্তিম চরণে যে ৯০৪জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে, সেই তালিকায় আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ, বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ, অনুরাগ ঠাকুর, কঙ্গনা রানাওয়াত, রবি কিষাণ, লালুপ্রসাদ যাদবের মেয়ে তথা আরজেডি প্রার্থী মিসা ভারতী, শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী চরণজিৎ সিং চান্নি, কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিং, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক ব্যানার্জী, সায়নী ঘোষ, বামেদের হয়ে লড়ছেন সুজন চক্রবর্তী, সৃজন ভট্টাচার্য।
নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শেষ দফা ভোটে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের ৫৮.৩৪। পশ্চিমবঙ্গে ভোট দানের হার ৬৯.৮৯ শতাংশ।
এদিকে শুক্রবার রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল। শনিবার ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই অভিযোগের পরিমান ও তীব্রতা দুইই বাড়তে থাকে।
বাংলার সপ্তম দফায় দুপুর ১টা পর্যন্ত মোট ১৮৯৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে।
প্রার্থী এবং পার্টি কর্মীদের মারধর ও হেনস্থা, বুথ এজেন্টকে বসতে না দেয়া, ভুয়ো ভোটার, ভোটারদের বাধা দেয়া, ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টার মতো একাধিক অভিযোগকে ঘিরে পহেলা জুন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বসিরহাট, ভাঙ্গর, ক্যানিং, বারুইপুর এবং অন্যান্য অঞ্চল। অভিযোগ কোথাও আবার পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন একাধিক ব্যক্তি।
কোথাও কোথাও সংঘর্ষের জেরে আক্রান্তদের গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনাও উঠে এসেছে।
ভাঙড়ের সংর্ষের জেরে আহত হন ৭০ এবং ৭১ নম্বর বুথের দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের কর্মী এম আই খান। সাতুলিয়া সিনিয়র মাদরাসা বুথে সেক্টর অফিসারের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দফায় দফায় সংঘর্ষ
বাংলায় সপ্তম দফা নির্বাচনে দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ ও কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। বরানগরে উপ-নির্বাচন হয়েছে।
চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন দফায় ভোটের সময় বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। শান্তিপূর্ণ ভোট করানো উদ্দেশ্যে শেষ দফা নির্বাচনে রাজ্যে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ২৯৫৮টি কুইক রেস্পন্স টিম মোতায়েন করা হয়েছিল।
কিন্তু শনিবার সকাল থেকে হাতাহাতি, প্রার্থী ও বুথ এজেন্টকে মারধর, ভাঙচুর বোমা উদ্ধার, পুলিশের লাঠিচার্জকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের নয়টি নির্বাচনি কেন্দ্রের আওতায় থাকা বিভিন্ন বুথ।
বরাগনগরে উপনির্বাচনের সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যকে শারীরিক হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল অন্যদিকে পাল্টা দাবি করেছে, ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছিল।
কলকাতা দক্ষিণের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর মেয়ে রোশেনারা মিশ্রকে বুথে ভিতর হেনস্থার অভিযোগ।
অন্যদিকে, কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় একটি পোলিং বুথে যাওয়ার সাথেসাথে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, বিজেপি ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা।
ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ অস্বীকার করে বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায় সংবাদ সংস্থা এএনাআইকে বলেন, ‘প্রক্সি ভোটের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বুথের ভেতরে তো এজেন্টরা উপস্থিত রয়েছেন।’
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলিতে উত্তেজিত জনতা ভোটকেন্দ্রে ঢুকে একটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাজেয়াপ্ত করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইল (ভিভিপিএটি) সজ্জিত ইভিএম বাজেয়াপ্ত করে জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে এই ঘটনায় সেক্টর অফিসার এফআইআর দায়ের করেছেন।
পহেলা জুন সকালে যাদবপুর কেন্দ্রের ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) ও সিপিআই(এম) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই এলাকা থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অবশ্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই অবশ্য উত্তপ্ত ছিল ভাঙ্গর, যে অঞ্চলে গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল এবং আইএসএফ- এর মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ।
শেষদফা ভোটের আগে থেকেই বোমাবাজি এবং হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে বারেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভোটে অশান্তির অভিযোগকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের নেত্রী ও মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বিরোধীরা এমন অভিযোগ করেই থাকে। এত বুথে ভোট হচ্ছে। কোথাও দুয়েকটা বুথে কিছু হয়ে থাকলে সেটা (ভোটের) সামগ্রিক চিত্র নয়।
উত্তপ্ত সন্দেশখালি
চলতি লোকসভা ভোটে আগে থেকেই নজরে ছিল সন্দেশখালি। ভোটের আগে শুক্রবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ছিল ওই এলাকা। ভয় দেখানো হচ্ছে এই অভিযোগ জানিয়ে রাতে পাহারা দেন স্থানীয় নারীরা।
গত জানুয়ারি মাস থেকে বারেবারে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের শাহ জাহান শেখ ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, জোর করে জমি দখল, নারী নির্যাতনের অভিযোগ, সন্দেশখালি থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের মতো ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি নির্বাচনে জাতীয় স্তরের নির্বাচনি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্দেশখালি। নির্যাতিত নারীদের আন্দোলনেই অন্যতম মুখ রেখা পাত্রকে প্রাথী হিসাবে বেঁচে নিয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনা ‘সাজানো’ এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের পাল্টা দাবিকে ঘিরে বারবার উত্তাল হয়েছে রাজনৈতিক ময়দান। সেই সন্দেশখালি থেকে সপ্তম দফা ভোটে উঠে এসেছে সংঘর্ষের অভিযোগ।
বসিরহাট লোকসভার সন্দেশখালির খুলনা অঞ্চলে তৃণমূল কর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডলকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বুথ দখল করতে চেয়েছিল তৃণমূল।
রেখা পাত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, তৃণমূল এখানে অশান্তির চেষ্টা করছে। তবে এই ভোট বাংলার মা-বোনের সম্মানের, যারা দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করেছেন। সন্দেশখালিতে পদ্ম ফুটবেই।
একইসাথে তিনি বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে ভয়ে ভোট দিতে পারিনি। এইবার দিলাম।
দুপুরে সন্দেশখালির বয়ারমারিতে বয়ারমারিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখান তারা।
পরে পুলিশ তাদের জোর করে সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। এরপর সড়ক অবরোধ করেন তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রেখা পাত্র। পুলিশের সাথে তার বচসাও বাঁধে।
বসিরহাটে তৃণমূলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের পাল্টা দাবি, বিজেপি ‘অশান্তি ছড়াচ্ছে’।
অভিষেক ব্যানার্জীর দাবি
চলতি লোকসভা ভোটে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ওই দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ব্যানার্জী। একসময় কংগ্রেস এবং পরে বামেদের দখলে থাকা ডায়মন্ড হারবার এখন তৃণমূলের গড় বলেই পরিচিত।
ওই কেন্দ্রে প্রার্থী বেশ দেরিতে ঘোষণা করেছে বিজেপি। অভিজিৎ দাস ববি বিজেপির হয়ে লড়ছেন ওই কেন্দ্র থেকে।
লোকসভা ভোটে নিজের জয় নিয়ে নিশ্চিত অভিষেক ব্যানার্জী। এদিন কলকাতার ভবানীপুরে নিজের ভোটদানের পর সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, তিন মাস ধরে রাস্তায় ঘুরেছি, বুঝতে পেরেছি মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে।
তার মতে, উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে। আজ গরম তুলনামূলক কম। আমি আশাবাদী, বিপুল সংখ্যক মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাংলার প্রতি যেভাবে বঞ্চনা হয়েছে, তার জবাব মানুষ দেবেন। প্রতিফলন ৪ তারিখ দেখতে পাবেন।
তৃণমূলের ফল নিয়ে আশাবাদী তিনি। তার দাবি, শেষ দফার ভোটে পশ্চিমবঙ্গের নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে সব কয়টিই তৃণমূলের দখলে থাকবে।
অন্যদিকে, শনিবার ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বুথ ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। তার অভিযোগ এভাবে ‘ছাপ্পা ভোট’ দিয়ে তৃণমূল জেতার চেষ্টা করছে।
দেশজুড়ে শেষ দফার ভোট
পশ্চিমবঙ্গ বাদে দেশের অন্যান্য রাজ্যে ভোটের চিত্র আলাদা ছিল। দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বাকি রাজ্যগুলোতে। হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডিতে বিজেপির হয়ে প্রথমবার নির্বাচনি ময়দানে লড়ছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তার বিপরীতে লড়ছেন কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিং।
ভোট দেয়ার পর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত বলেন, আমি নিজের ভোট দিয়েছি। সাধারণ মানুষকেও ভোট দেয়ার আর্জি জানাচ্ছি। হিমাচল প্রদেশে মোদির হাওয়া বইছে। হিমাচলের ৪টি আসনেই বিজেপি জিতবে।
অন্যদিকে, নিজের জয় নিয়ে নিশ্চিত তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিক্রমাদিত্য সিং। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে আমি জিতব। উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। হিমাচল প্রদেশের প্রগতিই আমার একমাত্র লক্ষ্য।
তাকে কঙ্গনা রানাওয়াতের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, জনতাই বলতে পারবেন কেন আমাকে তারা বেঁচে নেবেন এবং কেন ওকে (কঙ্গনা রানাওয়াত) নেবেন না। ভোটে আমার লড়াই ইস্যু ভিত্তিক আর উনি নেতিবাচক এবং ব্যক্তিগত আক্রমণের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনে লড়ছেন।
অন্যদিকে, বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ কেন্দ্রে সরকার গড়বে এ বিষয়ে আশাবাদী সমাজবাদী পার্টির গাজীপুরের প্রার্থী আফজল আনসারি। শনিবার ভোট দিয়ে বুথ থেকে বেরিয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী চৌঠা জুনের অপেক্ষা করুন, ইন্ডিয়া জোটই সরকার গড়বে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বারাণসী কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই। জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তিনিও। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, আমরা সাইলেন্ট ভোট পাচ্ছি। বিএসপি, আপনার দলের মতো অন্য দলের সমর্থকরাও আমাদেরই সাথে রয়েছেন। জনগণ এবার পরিবর্তনের মুডে রয়েছেন।
অন্যদিকে, শেষ দফা ভোটের আগে কন্যাকুমারীতে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল তার ধ্যানমগ্ন অবস্থার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা কটাক্ষ করতে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী থেকে শুরু করে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংসহ সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। সম্প্রচারের মাধ্যমে আদর্শ নির্বাচনি বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
আর বিরোধীদের এই অভিযোগ সামনে আসতেই সেটাকেই ঢাল করেছে বিজেপি। তাদের পাল্টা অভিযোগ, সনাতন ধর্মকে সম্মান করতে জানে না বিরোধীরা। সূত্র : বিবিসি