‘ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বাছাই হয়ে গেছে’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ মে ২০২৪, ১৫:১১
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোট প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাছাই করে ফেলেছে। শনিবার একথা জানালেন মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এদিন শিবসেনা নেতা তথা ইন্ডিয়া জোট শরিক উদ্ধব বলেন, মোদিজিকে চিন্তা করতে হবে না, কে আমাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মুখ নির্বাচন করে রেখেছি।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের হাত ধরে ইন্ডিয়া জোটের জন্ম হলেও পরবর্তীতে তিনি আচমকা পালটি খেয়ে যান। কিন্তু, জোট গঠনের শুরু থেকে মোদিসহ বিজেপি নেতৃত্ব বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে উপহাস করে আসছিলেন। মোদি একাধিক জনসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জোট শরিকদের। এদিন তারই জবাব দিলেন উদ্ধব ঠাকরে।
শনিবার মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ হোটেলে ইন্ডিয়া জোটের একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন হয়।
প্রসঙ্গত, এদিনই পঞ্চম দফার লোকসভা ভোটের প্রচারের শেষদিন। সাংবাদিক বৈঠকে ঠাকরে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রধান শারদ পাওয়ার এবং বিরোধী জোটের আরো তিন দলের নেতারা।
সেখানে উদ্ধব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার মতো যোগ্যতাধারী অসংখ্য নেতা রয়েছেন ইন্ডিয়া জোটে। জোট শরিকদের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনাও হয়ে গেছে। কিন্তু, এখনই তা প্রকাশ্যে আনতে নারাজ শরিক দলনেতারা। ইন্ডিয়া জোটের প্রাথমিক নজর দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বাঁচানো। প্রধানমন্ত্রী মুখ নিয়ে এর বেশি কিছু খোলসা করেননি সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।
ঠাকরের এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্রমাগত আক্রমণ। মোদির ভাষায়, ইন্ডিয়া জোট হলো একটি ভেঙে যাওয়া সংসার। সেখানে বিভিন্ন নেতা, বিভিন্ন স্লোগান এবং প্রচুর দাবিদার রয়েছেন। সব দলেরই লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি। এমনকী তিনি এও বলেছেন, হয়তো দেখা যাবে পাঁচ বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী হলেন।
এদিন ঠাকরে সেই উপহাসের জবাবে বলেন, মোদি অবশ্য মেনে নিয়েছেন যে- ইন্ডিয়া জোটে প্রধানমন্ত্রী পদে অসংখ্য মুখ রয়েছে। কিন্তু, বিজেপিতে উনি ছাড়া কোনো মুখ নেই। এভাবে আর কত বছর বিজেপি ওনাকে সামনে রেখে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে? আমাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা অনেকের মধ্যেই আছে। এবার আমরাই সরকার গড়তে চলেছি।
বৈঠকে খাড়্গে কংগ্রেসের ইস্তাহারকে মোদির ভাষায় মাওবাদী বলার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, মোদি প্রথমে আমাদের ইস্তাহারকে মুসলিম লিগের ইস্তাহার বলেছিলেন। এখন তিনি একে মাওবাদী বলছেন। উনি আগে ঠিক করুন, আসলে কী বলতে চান তিনি। আগে উনি জবাব দিন, কৃষকদের সহায়ক মূল্য, বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি পালন করেছে তার সরকার?
মোদীকে উদ্দেশ করে খাড়্গে বলেন, আপনি চিরকাল সব মানুষকে একসাথে বোকা বানিয়ে রাখতে পারবেন না।
সূত্র : দ্যা ওয়াল ব্যুরো