মালদ্বীপে চীনপন্থী প্রার্থী এগিয়ে, হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৬
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগণনায় চীনপন্থী মোহাম্মদ মুইজ এগিয়ে থাকলেও ন্যূনতম ৫০ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভারতপন্থী ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর সাথে লড়াই করতে হবে।
গতকাল শনিবার প্রায় সকল ভোটগণনার পর দেখা যায়, মালের মেয়র মুইজ পেয়েছেন ৪৬ ভাগ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট সলিহ পেয়েছেন ৩৯ ভাগ ভোট। নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন আটজন। এখন ৩০ সেপ্টেম্বর মুইজ ও সলিহর মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট হবে। এতে জয়ী ব্যক্তি হবেন মালদ্বীপের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
নির্বাচনী প্রচারণায় মুইজ (৪৫) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি জয়ী হলে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় উপস্থিতির অবসান ঘটাবেন। এমনকি তিনি তার দেশে ভারতীয় সামরিক উপস্থিতির সমাপ্তিও ঘটাবেন। তার প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ (পিপিএম) ২০১৩-২০১৮ সময়কালে ক্ষমতায় থাকার সময় চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী সলিহ (৬১) মালদ্বীপকে ভারতীয় বলয়ে নিয়ে এসেছেন। তার 'ইন্ডিয়া-ফার্স্ট' নীতির জের ধরে ভারত থেকে বিপুল সহায়তা এনেছে।
শনিবার ফলাফল ঘোষণার পর মুইজ বলেন, 'আমরা আজ খুবই খুশি। মালদ্বীপের জনগণ জাতীয়বাদী চেতনায় এগিয়ে এসেছে। সরকারি চাপ ও নির্যাতন সত্ত্বেও তারা দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা খুবই উৎসাহিত।'
অন্যদিকে সলিহ সাংবাদিকদের বলেন, তিনিও দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য প্রস্তুত। তিনি এজন জোটও গড়বেন।
নির্বাচনে তৃতীয় হয়েছেন সলিহর মালদিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) সাবেক এমপি ইলিয়াস লাবিব। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭ ভাগ। তিনি বর্তমানে দি ডেমোক্র্যাটস পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। সলিহর সাথে তীব্র মতবিরোধের জের ধরে তিনি এই দল গঠন করেন। অথচ গতবার সলিহর নির্বাচিত হওয়ার পেছনে নাশিদের বিপুল ভূমিকা ছিল।
মালদ্বীপের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের মানবাধিকারবিষয়ক অধ্যাপক আহমদ শহিদ মনে করেন, নাশিদই এখন সবচেয়ে বড় বিজয়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তিনি কিংমেকারে পরিণত হয়েছেন। তিনি সম্ভবত সলিহকে সমর্থন করবেন। তিনিও ভারতপন্থী। এ কারণেই তিনি সলিহকে সমর্থন করতে পারেন।
তবে তিনি বলেন, যারা শনিবার ভোট দেয়নি, তারাই হবে আসলে ফলাফল নির্ধারক। শনিবার ২৮২,৩৯৫ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৭৫ ভাগ ভোট দিয়েছে। আগের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছির ৮৫ ভাগ।
সূত্র : আল জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা