২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মালগাড়ির ওপরে করমণ্ডলের ইঞ্জিন কিভাবে

মালগাড়ির ওপরে করমণ্ডলের ইঞ্জিন কিভাবে। - ছবি : সংগৃহীত

মালগাড়ির বগির ওপর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। দেখলে মনে হবে, কেউ যেন ধরে বসিয়ে দিয়েছে। পাশেই বেশ কয়েকটি কামরা লাইনের দু’দিকে কোনোটা কাত হয়ে, কোনোটা উল্টে পড়ে আছে।

ওড়িশার বাহানগা বাজার এলাকার যে ছবি প্রকাশ হয়েছে, তা দেখলে মনে হবে যে মালগাড়ির তিন-চারটি বগিকে একেবারে পিষে দিয়ে একটি বগির মাথায় উঠে থমকে গিয়েছে করমণ্ডলের ইঞ্জিন। মালগাড়িকে পেছন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধাক্কা মেরেছিল কি-না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

শনিবার সকালেই রেলমন্ত্রী উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের ঘোষণা করেছেন। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখবেন রেলের সেফটি কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব রেল)।

যদিও রেলের দাবি, বাহানগা বাজারে কোনো মুখোমুখি বা পেছন থেকে সংঘর্ষ হয়নি। পাশাপাশি সংঘর্ষ হয়েছে।

কিন্তু যেভাবে মালগাড়ির ওপরে করমণ্ডলের ইঞ্জিন উঠে গেছে, তা দেখলে সাদা চোখে মনে হবে, পেছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা মারার ফল। একই সাথে প্রশ্ন উঠছে, কত গতিতে ধাক্কা মারলে করমণ্ডলের ইঞ্জিন মালগাড়ির ওপর উঠে যেতে পারে? রেল যদিও তাদের বিবৃতিতে মালগাড়ির প্রসঙ্গ আনেনি। করমণ্ডল ও বেঙ্গালুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত হওয়া এবং পাশাপাশি ধাক্কাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। দুর্ঘটনায় সময় কত গতিতে ছুটছিল ট্রেনটি তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে করমণ্ডল যে ভালো গতিতেই ছুটছিল, ধাক্কার অভিঘাতে তা প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর পরই করমণ্ডলের সামনের দিকের কয়েকটি কামরা একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। মোট ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে যে দৃশ্য বার বারই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, কিভাবে মালগাড়ির ওপরে চেপে বসল ইঞ্জিন?

রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অভিজ্ঞদের মতে, যেকোনো ইঞ্জিনের সামনে বা কামরার মধ্যে ও পিছনে ‘বাফার’ থাকে।

তাদের মতে, ধরে নেয়া যাক ওই মালগাড়ির পিছনে করমণ্ডল ধাক্কা মেরেছে। তাতে মালগাড়ি খালি থাকলে তার কামরার পেছন দিকে ঢুকে যেত ইঞ্জিন। কিন্তু ওয়াগনগুলো ভর্তি ছিল বলেই ধাক্কার সাথে সাথে ইঞ্জিনের সামনে থাকা বাফার সেটিকে ঠেলে ওপরের দিকে তুলে দিয়েছে। ফলে ওয়াগনের ওপর গিয়ে আটকে গিয়েছে ইঞ্জিন।

যদিও এ সবই প্রকাশিত ছবি দেখে মনে করা হচ্ছে। বাস্তবের সাথে তার কোনো মিল আছে কি-না, তা বোঝা যাবে তদন্ত শেষে।

রেলও একই কথা জানিয়েছে। তাদের দাবি, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঠিক কী হয়েছে, তা বলা সম্ভব নয়। সূত্র : আনন্দবাজার প্রত্রিক


আরো সংবাদ



premium cement