২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরে যাচ্ছেন মিয়ানমারে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত

মিয়ানমারে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত নিওলিন হেইজার (মাঝে)। - ছবি : এএফপি

মিয়ানমারে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত নিওলিন হেইজার পদত্যাগ করেছেন। তিনি ১২ জুন থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন বলে ৩১ মে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ প্রধানের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।

ডুজারিক জানান, নিওলিন হেইজারকে ২০২১ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারে বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত করেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। আগামী ১২ জুন তার চুক্তি শেষ হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে দিতে হেইজারের অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এজন্য মহাসচিব তার প্রতি কৃতজ্ঞ। শিগগিরই নতুন আরেকজন দূত নিয়োগ করা হবে বলেও জানান মুখপাত্র।

নিওলিন হেইজার গত ১৮ মাস মিয়ানমারে বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি দেশটির জান্তা সরকার ও বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর থেকে দেশটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর পর থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও অভ্যুত্থানবিরোধীরা সেনাবাহিনীর সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।

জাতিসঙ্ঘ ও আসিয়ান এ বিরোধ সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

সিঙ্গাপুরের সমাজবিজ্ঞানী হেইজারকে মিয়ানমারে অং সান সু চি সরকারের পতনের পর দেশটির সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্যাপক ধরপাকড় ও প্রাণহানি রোধে কাজ করা এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

তিনি গত আগস্টে মিয়ানমার সফর করেন এবং জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ও অন্যান্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন। কিন্তু জেলবন্দী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চি’র সাথে বৈঠক না করায় তার এ সফরের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। তারা এটাকে ‘একচোখা পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

অং সান সু চিকে ৩৩ বছরের সাজা দিয়ে রেখেছে জান্তা আদালত।

প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী রাশিয়া ও চীন সমর্থিত মিয়ানমারের জেনারেলরা বিরোধীদের সাথে আলোচনা শুরু করার বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ভণ্ডুল করে দিয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের সাবেক বিশেষ দূত সুইস কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্রানার বার্গানার মিয়ানমার সফর করতে চাইলেও জান্তা সরকারের বাধার কারণে তা করতে পারেননি।

কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আসিয়ানের মিয়ানমার বিষয়ক দূত প্রাক সোখন দুইবার মিয়ানমার সফর করলেও সু চি’র সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়নি সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ গ্রুপ।

জাতিসঙ্ঘের তথ্যমতে, সহিসংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

সূত্র : এএফপি


আরো সংবাদ



premium cement