২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট ১৯টি বিরোধী দলের

ভারতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট ১৯টি বিরোধী দলের। - ছবি : সংগৃহীত

আগামী ২৮ মে ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনাচক্রে ওই দিনই হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রবর্তক ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) মতাদর্শগত গুরু বলে মান্য করা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মদিন। ওই অনুষ্ঠানটি ১৯টি বিরোধী দল একযোগে বয়কট করতে চলেছে বলে জানিয়েছে ভারতের এনডিটিভি ও নিউজ এইটিন।

এ দলগুলোর মধ্যে রয়েছে তামিলনাডুর ক্ষমতাসীন ডিএমকে, বিহারে ক্ষমতাসীন জোটের দুই সদস্য দল- জনতা দল (ইউ) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং উত্তরপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি। শারদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিও নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বয়কট করবে বলে দলের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।

প্রথম বয়কটের ঘোষণা তৃণমূল কংগ্রেসের
মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি ডেরেক ওব্রায়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জানান, ‘পার্লামেন্ট শুধু একটি নতুন ভবন নয়। এটি একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রতিষ্ঠিত প্রথা, মূল্যবোধ ও নিয়ম আছে। সেটি ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রী মোদি তা মানেন না। তাই আমাদের হিসেবে ধরবেন না।’

তৃণমূল কংগ্রেসের এই টুইটের পরেই আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং টুইট করেন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো তার প্রতি চরম অপমান। ভারতের দলিত ও আদিবাসী সমাজের অপমান।

তিনি লিখেছেন, ‘মোদি মহামহিম রাষ্ট্রপতিকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদে আম আদমি পার্টি উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করবে।’

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বদলে প্রধানমন্ত্রী কেন নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন, তা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই সরব কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো।

সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরি টুইট করে লিখেছেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি যখন অধিবেশন ডাকেন, একমাত্র তখনই সংসদ বসতে পারে। রাষ্ট্রপতিই যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়ে বার্ষিক সংসদীয় কার্যক্রম শুরু করেন। তার ভাষণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েই প্রতিবছর সংসদের কাজ শুরু হয়।’

তিনি আরো লিখেছেন, মোদি নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানেও রাষ্ট্রপতিকে এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তাই। এটা ‘অগ্রহণযোগ্য’।

তার কথায়, সংবিধানের ৭৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংসদের দু’টি কক্ষ- উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা ও নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং রাষ্ট্রপতি এই তিনে মিলেই সংসদ।

তাই নতুন ভবন উদ্বোধন করা উচিত ছিল রাষ্ট্রপতিরই, এমনটাই মত বিরোধীদের।

কী বলছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা?
সংবিধান বিশেষজ্ঞ বিজয় হান্সারিয়া অবশ্য বলেছিলেন, ‘এ নিয়ে বিতর্কের কিছু দেখছি না আমি। আমার এটাও মনে হয় না যে সংসদ ভবন উদ্বোধন রাষ্ট্রপতি না করে প্রধানমন্ত্রী করছেন বলে রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৭৯ নম্বর ধারায় লেখা আছে ঠিকই যে রাষ্ট্রপতি এবং দুটি কক্ষ- এই তিনে মিলেই সংসদ, কিন্তু এটাও সত্য যে প্রধানমন্ত্রী হলেন লোকসভার নেতা। সংসদীয় কাজে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হচ্ছে যে তার মাধ্যমেই যাবতীয় বিল পাশ হয়ে আইন তৈরি হবে। আর তার ভাষণ দিয়ে যে বছরের যাবতীয় সংসদীয় কাজ শুরু হয়, তা তো একটা প্রথা।’

‘ইন্দিরা গান্ধিও তো সংসদের অ্যানেক্স উদ্বোধন করেছেন’
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা উদাহরণ দিয়ে বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি সংসদের ‘অ্যানেক্স’ ভবন এবং রাজিব গান্ধি সংসদের গ্রন্থাগার ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন। তাই প্রধানমন্ত্রী যদি নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন, তাহলে প্রশ্ন কেন তোলা হচ্ছে?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদিপ সিং পুরি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের আগস্টে তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি সংসদের অ্যানেক্স ভবনের, তারপরে ১৯৮৭ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধি সংসদের গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করেছিলেন। কংগ্রেসের সরকার প্রধানরা যদি ওইগুলো উদ্বোধন করে থাকতে পারেন, তাহলে আমাদের সরকার প্রধান কেন একই কাজ করতে পারবেন না?’

কংগ্রেস এর জবাব দিয়ে বলে, ‘অ্যানেক্স’ ভবনে অফিসার ও কর্মচারীরা কাজ করেন আর গ্রন্থাগার- এই দু’টিকে সংসদের অধিবেশন কক্ষের সাথে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। অ্যানেক্স ও গ্রন্থাগারের থেকে সংসদীয় মর্যাদায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন কক্ষ দু’টি।

বিরোধী ঐক্যের প্রকাশ?
আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে বিজেপি বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য আলোচনা করছে। বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে জোট বাধার প্রচেষ্টায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার বিভিন্ন দলের সাথে কথা চালাচ্ছেন। তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে, রাহুল গান্ধিদের সাথে যেমন নিয়মিত বৈঠক করছেন, তেমনই মমতা ব্যানার্জি, অখিলেশ যাদবের সাথে কথা বলেছেন।

প্রাথমিকভাবে ওই প্রস্তাবিত বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কংগ্রেসকে রাখা নিয়ে মমতা ব্যানার্জি ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরভিন্দ কেজরিওয়ালের বিরোধিতা থাকলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, কর্নাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পরে ওই দু’জনই কংগ্রেস সর্ম্পকে ইতিবাচক।

বিজেপি বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্ব সম্প্রতি কর্নাটকে কংগ্রেসের নব-নির্বাচিত সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও এক জায়গায় হয়েছিলেন।

আবার দিল্লি সরকারের কাছ থেকে তাদের নিজস্ব কর্মী-অফিসারদের বদলি বা শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে যে অধ্যাদেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তা রাজ্যসভায় যাতে সরকার পাশ না করাতে পারে, তার জন্য বিরোধী দলগুলোর কাছে আবেদন জানিয়ে বৈঠক করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরভিন্দ কেজরিওয়াল।

মঙ্গলবার তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে বৈঠক করেছেন, বুধবার তিনি মুম্বাই গিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সাথে আর বৃহস্পতিবার এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সাথে বৈঠক করবেন।

এ দলগুলো যেভাবে একজোট হওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন একযোগে বয়কট করা কি ওই প্রচেষ্টারই একটা প্রকাশ?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক অরুন্ধতি মুখার্জির কথায়, ‘বিরোধীরা এটাকে একটা ইস্যু করছে ঠিকই, খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে চাইছে তারা বিষয়টিকে। কিন্তু এটা তো কোনো আন্দোলন নয় যে তার মধ্যে দিয়ে সব বিরোধীরা একজোট হয়ে যাবেন, যেমন হয়েছিল জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে।’

তিনি বলেন, ‘দিল্লি অধ্যাদেশ নিয়ে অরভিন্দ কেজরিওয়াল সব বিরোধীদের নিয়ে যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তা কতটা সফল হবে, তা তো সংসদে ভোটাভোটি হলেই স্পষ্ট হবে। তাই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট করাটাকে বিরোধী ঐক্যের পথে একটা মাইলফলক, এমনটা এখনো মনে হচ্ছে না।’

রাজদণ্ড রাখা হবে নতুন ভবনে
সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনের পরে সেখানে স্থাপিত হবে ভারতের রাজদণ্ড, যার নাম ‘সেঙ্গোল’। সোনার তৈরি ওই রাজদণ্ডটি বর্তমানে এলাহাবাদের একটি সংগ্রহশালায় রাখা আছে। ‘সেঙ্গোল’টি নতুন সংসদ ভবনে স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি।

বুধবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘১৪ আগস্ট ১৯৪৭ এক ঐতিহাসিক ঘটনা হয়েছিল। তার ৭৫ বছর পরে আজ দেশের অনেকই জানেন না ঘটনাটি। ওই দিন ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক ছিল এই ‘সেঙ্গোল’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টা জানার পরে খোঁজ খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাই দেশের মানুষের সামনে সেটাকে রাখা হবে।’

‘সেঙ্গোল’ নিয়ে একটি ওয়েবসাইটও বুধবার প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ওই ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘বর্তমান তামিলনাডু অঞ্চলের প্রাচীন চোলা রাজত্বের সময়ে মন্দিরের প্রধান পুরোহিতরা রাজার অভিষেকের সময়ে এমনই একটি রাজদণ্ড তুলে দিতেন, যা সু-শাসন, নিরপেক্ষ শাসনের প্রতীক ছিল।’

ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে শেষ ব্রিটিশ বড়লাট লর্ড মাউন্টব্যাটেন জওহরলাল নেহরুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে প্রতীকী ক্ষমতা হস্তান্তরটা কিভাবে করা যায়।

নেহরু ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল চক্রবর্তি রাজাগোপালাচারির কাছে পরামর্শ চান। তিনিই পরামর্শ দেন যে তামিলনাডুতে এমন একটি প্রাচীন রীতি আছে যে মঠের প্রধান পুরোহিত নতুন রাজার হাতে এই রাজদণ্ড তুলে দেন।

ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক ওই ‘সেঙ্গোল’ চেন্নাইয়ের এক স্বর্ণ শিল্পি ভাম্মুরি বঙ্গারু চেট্টিকে দিয়ে তৈরি করে আনা হয়। পাঁচ ফুট লম্বা ওই সোনার রাজদণ্ডের মাথায় রয়েছে ‘নন্দী ষাঁড়’।

১৪ আগস্ট রাত ১২টার আগে তামিলনাডুর থিরুভাদুথুরাই আথিনাম মঠের প্রধান পুরোহিত প্রথমে সেঙ্গোলটি লর্ড মাউন্টব্যাটেনের হাতে তুলে দেন, তারপরে আবার তা ফিরিয়ে নেন।

এনডিটিভি লিখছে, তারপরে সেটিকে গঙ্গার পানি দিয়ে দিয়ে শোধন করে ১৪ আগস্ট রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে জওহরলাল নেহরুর হাতে তুলে দেন ওই পুরোহিত।

এভাবেই ব্রিটিশদের হাত থেকে প্রতীকীভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল স্বাধীন ভারতের কাছে।

কারা আমন্ত্রিত হলেন?
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্র উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, লোকসভার সাবেক অধ্যক্ষ ও রাজ্যসভার সাবেক চেয়ারম্যানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দু’টি কক্ষের সব সদস্য, প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে পৌঁছিয়েছে আমন্ত্রণপত্র।

উপ-রাষ্ট্রপতিরাই পদাধিকারবলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হন। কিন্তু বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি জগদিপ ধনকড়ের বদলে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিওয়ানশ উপস্থিত থাকবেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।

এছাড়াও নতুন সংসদ ভবনের স্থপতি বিমল প্যাটেল ও শিল্পপতি রতন টাটা এবং বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে।

রতন টাটার অধীনস্থ সংস্থা টাটা প্রজেক্টসই নতুন ভবনটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিল।

কী আছে নতুন ভবনে?
বর্তমান সংসদ ভবনটি ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল। স্থান স্বল্পতার কারণেই নতুন ভবন তৈরি করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল বলে সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করতেন। তাই লোকসভা ও রাজ্যসভা সরকারকে অনুরোধ করে যে সংসদের একটি নতুন ভবন তৈরি করে দিতে।

সংসদের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এনএনআই জানিয়েছেন, সংসদের অনুরোধেই নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয় এবং ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর তার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৩ জন ও রাজ্যসভায় ২৫০ সদস্যর জায়গা আছে। কিন্তু নতুন ভবনটিতে লোকসভা কক্ষে ৮৮৮ জন ও রাজ্যসভা কক্ষে ৩৮৪ জন সংসদ সদস্যর বসার জায়গা করা হচ্ছে বলে এএনআই জানিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ৮৬২ কোটি রুপি খরচ ধরা হলেও শেষ পর্যন্ত নির্মাণখরচ হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি রুপিরও বেশি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যে সাত হাজার শ্রমিক নতুন সংসদ ভবন নির্মাণে জড়িত ছিলেন, তাদের সম্মান জানাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’

নতুন সংসদ ভবনটি দিল্লির কেন্দ্রস্থলে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রকল্পের অধীনের তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ বলে পরিচিত সেন্ট্রাল ভিস্তাটি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শুরু হচ্ছে।

আগে যে রাস্তার নাম ছিল রাজপথ, তারই নাম বদল করে রাখা হয়েছে কর্তব্য পথ।

সেন্ট্রাল ভিস্তায় সংসদ ভবন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন থাকবে।

বর্তমানে প্রধান সরকারি দফতর দুটি- নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লকের বদলে মন্ত্রীদের দফতরগুলোও নিয়ে আসা হবে সেন্ট্রাল ভিস্তায়। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ২০ হাজার কোটি রুপির বরাদ্দ হয়েছে।

এ প্রকল্প এমন একটা সময় শুরু করা হয়, যখন ভারতজুড়ে করোনা মহামারী চলছিল। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল যে অক্সিজেন, হাসপাতালের শয্যা, ওষুধ ইত্যাদিতে খরচ না করে মহামারীর সময়ে এই বিপুল অর্থ কেন সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণে খরচ করা হচ্ছে।

দেশজুড়ে লকডাউন চললেও সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়নি। চারদিক দিয়ে ঘিরে টানা কাজ চালিয়ে গেছে নির্মাণ শ্রমিকরা।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি

সকল