২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘গাঁজার স্বর্গরাজ্য’ থাইল্যান্ডে যা ঘটছে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘গাঁজার স্বর্গরাজ্য’ থাইল্যান্ডে যা ঘটছে - ছবি : সংগৃহীত

ব্যাঙ্ককের সবচেয়ে ব্যস্ত রাস্তা সুকুমভিট রোডের নিয়নসাইনগুলোর মধ্যে নতুন একটি প্রতীক দেখা যেতে শুরু করেছে। সবুজ উজ্জল গাঁজা পাতার ওই ছবিটি বুঝিয়ে দিচ্ছে গত জুন মাসে গাঁজাকে থাইল্যান্ডে বৈধ করার পর থেকে এ সম্পর্কিত নানা ব্যবসার বিস্তার শুরু হয়েছে।

ব্যাঙ্ককে বিবিসির কার্যালয় থেকে পূর্ব দিকে দুই কিলোমিটার হাঁটলে অন্তত ৪০টির বেশি ওষুধের দোকান পাওয়া যাবে যারা শক্তিশালী গাঁজা ফুলের কুঁড়ি এবং সেগুলো ধূমপানের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিক্রি করা হচ্ছে।

এর ঠিক বিপরীত দিকে ব্যাকপ্যাকার ভ্রমণকারীদের প্রিয় জায়গা খাও স্যান রোডে গাঁজা কেন্দ্র করে পুরো একটা শপিং মল তৈরি হয়েছে। প্ল্যান্টোপিয়া নামের ওই মার্কেটের দোকানপাট ধোয়ায় অর্ধেক আবৃত হয়ে আছে, কারণ অনেকেই গাঁজা কিনে সেখানেই যাচাই করে দেখছেন।

থাইল্যান্ডের ওয়েড ওয়েবসাইটে চারহাজারের বেশি ব্যবসায়ী তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা এবং এ থেকে তৈরি নানারকম পণ্য বিক্রি করেন।

অথচ গত বছরের জুন মাসের আগে পর্যন্ত থাইল্যান্ডে গাঁজা ছিল অবৈধ। কারো কাছে গাঁজা পাওয়া গেলে পাঁচ বছরে কারাদণ্ড এবং কেউ গাঁজা উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকলে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আইন ছিল।

‘অগোছালো হলেও এটা থাইল্যান্ড। আকস্মিকভাবে এই উদারতার ঘটনা না ঘটলে মনে হয় না এরকম ব্যাপক বিস্তারের ঘটনা ঘটতো,’ বলছেন এলভেটেড এস্টেটের প্রতিষ্ঠাতা কিটি চোপাকা। এই কোম্পানি গাঁজা শিল্পের নানা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। সংসদীয় কমিটির সাথে মিলে তারা গাঁজা সংক্রান্ত নতুন বিধি-বিধান তৈরির কাজে সহায়তা করছে।

তবে তার মতো যারা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা বৈধ করার দাবিতে ক্যাম্পেইন করেছেন, তারা এরকম উদারতা চান না।

‘’আমাদের বিধিবিধান থাকা দরকার। কি করা যাবে আর কি করা যাবে না, সেটা পরিষ্কার করা দরকার,’ বলছেন মিজ চোপাকা।

‘’অনেক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অনেকে জানেন না, তারা কী কী করতে পারবেন, কোথায় কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন।‘’

তবে এই আপাত মুক্ত পরিবেশের মধ্যেও বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর প্রয়োগ তেমন নেই, হলেও হচ্ছে খুব এলোমেলোভাবে। যারা গাঁজা বিক্রি করে, তাদের লাইসেন্স থাকার কথা থাকলেও সবার নেই। তাদের সমস্ত গাঁজার উৎস এবং প্রত্যেক গ্রাহকের ব্যক্তিগত বিবরণীও সংরক্ষণে থাকার কথা।

অপ্রক্রিয়াজাত ফুল ছাড়া আর কোনো গাঁজা পণ্যে গাঁজার মূল উপাদান সাইকোট্রপিক রাসায়নিক বা টিএইচসি ০.২ শতাংশের বেশি থাকার কথা নয়। তারপরেও অনলাইনে উচ্চ টিএইচসির ব্রাউনি এবং নানা ধরনের গাম কিনতে পাওয়া যায়। এমনকি তারা এক ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতেও সেটা পৌঁছে দেয়। নিয়ম অনুযায়ী ২০ বছরের নিচে কারো কাছে গাঁজা বিক্রি করা যায় না। কিন্তু যখন শুধুমাত্র মোটরসাইকেলে করে কারো বাড়িতে গাঁজা পৌঁছে দেয়া হয়, তখন তো কারো পক্ষে জানা সম্ভব না যে ক্রেতার আসল বয়স কতো?

এখন ব্যাঙ্ককে এমন রেস্তোরা আছে, যেখানে গাঁজা দিয়ে তৈরি নানারকম খাবার বিক্রি করা হয়। সেখানে গাঁজার চা এবং গাঁজার আইসক্রিমও পাওয়া যায়। কিছু কিছু দোকান এমনকি গাঁজাযুক্ত খাবার পানিও বিক্রি করছে।

পুলিশ স্বীকার করেছে, গাঁজা সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ কর্মকাণ্ড, তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে। এই কারণে তারা এ সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ অনেক কম করছে।

গাঁজার এই বৈধকরণের বিষয়টাকে একটা রাজনৈতিক দুর্ঘটনা বলা যেতে পারে। থাইল্যান্ডের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধান আনুতিন চার্নভিরাকুল ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় কিছু আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেটা ভোটে বেশ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

অনেকে মনে করেন, গাঁজা দরিদ্র কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক বিকল্প অর্থকরী ফসল হতে পারে। নতুন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে অনুতিন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য নিষিদ্ধ মাদক তালিকা থেকে গাঁজাকে সরিয়ে নেয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।

কিন্তু নানারকম স্বার্থবাদী গোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের কার্যক্রম বেশ ধীর গতির। নতুন ব্যবসা সংক্রান্ত বিধিবিধান তৈরি হওয়ার আগেই গাঁজাকে মাদক তালিকা থেকে বের করে আনা হয়েছিল। কিন্তু দলগুলোর দ্বন্দ্বে নতুন নিয়মকানুন তৈরির কাজটি আটকে যায়।

সামনের মে মাসে যেহেতু আরেকটি সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তার আগে সংসদে এই সংক্রান্ত আইন পাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এর মধ্যেই বিরোধী দলগুলো অনিয়ন্ত্রিত গাঁজার ব্যবহারের বিপদ নিয়ে সতর্কবাণী দিচ্ছে। তারা ঘোষণা দিয়েছে, বিজয়ী হলে এটাকে পুনরায় অপরাধের তালিকায় নিয়ে আসা হবে।

ফলে গাঁজা শিল্পের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।

একুশ বছর বয়সী তুকতা গত বছর থেকে গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী গত এক বছরে ওষুধের দোকান এবং হার্ব ক্লাব নামের কফিশপে ৩০,০০০ ডলার বেশি মূল্যের গাঁজা বিক্রি করেছেন। তিনি ১৬ রকম মানের গাঁজা বিক্রি করে থাকেন। প্রতি গ্রাম বিক্রি হয় ১০ থেকে ৪০ ডলারের মধ্যে। ভবিষ্যতে আইনের সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে তুকতা এর মধ্যেই চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

‘’গাঁজার দাম কমছে, কারণ এখানে অনেক গাঁজার সরবরাহ হচ্ছে,’’ তিনি বলছেন।

‘’অনেক অবৈধ আমদানি হচ্ছে। এখন আমাদের বিদেশ থেকে গাঁজার চারা আনতে হচ্ছে, যার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ও আলোর প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের উচিৎ এমন বীজ তৈরির দিকে নজর দেয়া, যা আমাদের জলবায়ুর জন্য কাজ করে এবং খরচ কম হয়।‘’

‘’আমাদের পুরনো ঐতিহ্য, আমাদের পুরনো সংস্কৃতিতে ফিরে যেতে হবে। কারণ গাঁজা এবং থাইল্যান্ড- একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত,’’ বলছেন মিজ তুকতা।

গাঁজার এরকম নাটকীয়ভাবে ফুলেফেপে ওঠা ব্যবসার বিষয়টি অনেক থাইয়ের কাছে বিস্ময়কর, কারণ তারা বরাবরই সবধরনের মাদকদ্রব্যকে বিপজ্জনক সামাজিক ক্ষতিকর হিসাবে দেখে আসছে।

উত্তর থাইল্যান্ডের পাহাড়ি উপজাতিগুলোর এলাকায় ১৯৭০ এর শেষভাগ পর্যন্ত ব্যাপকভাবে গাঁজার চাষাবাদ করা হতো। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপাদনের এলাকা গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের কাছাকাছি ওই এলাকা। উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডে ভেষজ এবং রান্নার উপাদান হিসাবেও গাঁজা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হতো।

যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা ১৯৬০ এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ থেকে বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছানোর পর তারা থাই স্টিক আবিষ্কার করে। সেটা ছিল স্থানীয়ভাবে মোটা সিগারের মতো বাঁশের লাঠির চারপাশে পাতায় মোড়ানো গাঁজার কুঁড়ি থেকে তৈরি করা। মার্কিন সৈন্যরা প্রচুর পরিমাণে থাই গাঁজা দেশে পাঠাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল থেকে হেরোইনও যেতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রে।

ভিয়েতনামে যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মাদক উৎপাদন রোধ করার জন্য থাইল্যান্ডের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আমেরিকা। ১৯৭৯ সালে থাইল্যান্ডে মাদক বিরোধী আইন পাস করে, যেখানে মাদকের ব্যবহার ও বিক্রির জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করা হয়।

১৯৬০ এর দশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মাদক ও যৌনতার প্রতি যে রক্ষণশীল মনোভাব তৈরি হয়েছিল, থাইল্যান্ডেও সেই প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করে।

সেই সময় থাইল্যান্ডে রাজকীয় খরচে কিছু প্রকল্প নেয়া হয়, যাতে পাহাড়ি উপজাতি গোষ্ঠীগুলো আফিম ও গাঁজা চাষ বন্ধ করে কফি বা বাদামের চাষাবাদ করে।

নব্বইয়ের দশক থেকে মিয়ানমারের যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকাগুলো থেকে থাইল্যান্ডে সস্তা মেথামফেটামাইন আসতে শুরু করে। এতে আসক্তির ধ্বংসাত্মক সামাজিক প্রভাব দেখে থাই জনগণ মাদকের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হয়ে ওঠে। এরপর ২০০৩ সালে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর এক অভিযান শুরু করা হয়। সেই অভিযানে অন্তত ১৪০০ মাদকের বিক্রেতা এবং ব্যবহারকারী নিহত হয়েছিল।

তখন থাইল্যান্ডের কারাগারে যতো কারাবন্দী ছিল, তার তিন-চতুর্থাংশ মাদকজনিত অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিল। এর ফলে থাই কর্মকর্তারা তাদের কঠোর নীতি পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেন। তারা ভাবতে শুরু করেন যে থাইল্যান্ডের চিকিৎসা পর্যটন খাতে গাঁজা ওষুধ এবং থেরাপির জন্য মূল্যবান উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে। সেই সাথে বিনোদনের কাজেও গাঁজার ব্যবহার হতে পারে।

এরকমই একজন হচ্ছেন থাই উদ্যোক্তা টম ক্রসোপন। গাঁজাকে বৈধতা দেয়ার পেছনে তার ভূমিকার জন্য তিনি উইড বা গাজা নামেও পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি ব্যাঙ্ককে মার্কিন গাঁজার দোকান কুকিজের একটি শাখা খুলেছেন। তিনি স্থানীয় গাঁজা দিয়ে তৈরি নানা জিনিসপত্র তৈরি করেন, যার মধ্যে গাঁজার থিমযু্ক্ত অন্তর্বাস, স্যান্ডেল এবং টি-শার্টও রয়েছে।

যে পর্যটকরা ব্যাংককের হিলটন হোটেলে থাকা পশ্চিমাদের কাছে থাইল্যান্ডের বর্ণনা শুনেছেন, তাদের কাছে ব্যাঙ্ককের এই নতুন চেহারা অবাক করে দেয়ার মতোই। ক্রসোপন তাদের আশ্বস্ত করে বলছেন যে, থাইল্যান্ডে গাঁজা কেনা বা সেবন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এই ব্যবসা আরো বড় হবে বলে তিনি মনে করেন।

‘’আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, এখানে কয়েক বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি তৈরি হবে,’’ তিনি বলছেন।

তবে তিনি স্বীকার করেন, এজন্য আরও ভালো নিয়মকানুন তৈরি হওয়া দরকার। ‘’অন্যথায় আপনি সোনার হাঁসটিকে হত্যা করে ফেলবেন।‘’

তবে অবাক হলেও গাঁজা নিয়ে পার্লামেন্টের বাইরে জনগণের মধ্যে খুব একটা বিতর্ক দেখা যায় না।

একজন বয়স্ক ট্যাক্সি ড্রাইভার বলছিলেন, গাঁজাকে বৈধতা দেয়ায় তার কিছু আসে যায় না। ‘’আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। সবাই এটা খাই না, ফলে এটা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপার না।‘’

কিছু চিকিৎসক গাঁজার আসক্তির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তবে থাইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা মেথামফেটামিন সংকটের কাছে গাঁজার সমস্যা বরং ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।

ব্যাঙ্ককের দোকানগুলো বলছে, তাদের বেশিরভাগ ক্রেতা থাই নয়, বরং বিদেশী পর্যটক। থাইদের মধ্যেও যারা নিয়মিত গাঁজা সেবন করে এবং এর বৈধতাকে সমর্থন করে, তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়।

এদের একজন আমান্দা। তিনি খুবই খুশী যে, পুলিশের কোনরকম ভয়ভীতি ছাড়াই নিজের বাড়িতেই পছন্দের জাতের গাঁজার চাষ করতে পারছেন। তিনি নিজের ছোট অ্যাপার্টমেন্টকে গাঁজার বাগান বানিয়ে ফেলেছেন। তার বেডরুমের বারান্দায় প্রতিফলিত তাবু টাঙ্গিয়ে এবং শক্তিশালী আলোর ব্যবস্থা করে সাতটি গাঁজা গাছ লাগিয়েছেন। এখন তার বেডরুমে তার বেড়ালকেও ঢুকতে দেয়া হয় না।

‘’প্রথমে এটা কঠিন ছিল, আমার অনেক কিছু শেখার ছিল। আমি প্রথমে তাপমাত্রা ঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। দিনে ২৪ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করার কারণে আমার এমন কিছু দরকার ছিল, যা আর্দ্রতা ধরে রাখবে। থাইল্যান্ডে এখন হাজার হাজার খামার ও বিক্রির অনেক দোকান রয়েছে। অনেক মানুষ এই ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে,’’ বলছেন আমান্দা।

থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখন আলোচনা চলছে যে, গাঁজাকে পুনরায় অপরাধের তালিকাভুক্ত করা হবে কিনা অথবা বিনোদনের পরিবর্তে শুধুমাত্র চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের মধ্যে গাঁজাকে সীমাবদ্ধ করা হবে কিনা। তবে এখন যারা গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে, তারা মনে করেন, যেভাবে গত নয় মাসে থাইল্যান্ডে গাঁজা ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে, তাতে এখানে গাঁজাকে আর সীমিত করা সম্ভব হবে না।

থাইল্যান্ডে আপাত-মুক্ত গাঁজার ব্যবসা যে শেষপর্যন্ত কোনদিকে যাবে, তা নিয়ে অবশ্য কারোরই পরিষ্কার কোন ধারণা নেই। সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement