১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সবচেয়ে জনবহুল দেশের এক ভুতুড়ে গ্রামের গল্প

সবচেয়ে জনবহুল দেশের এক ভুতুড়ে গ্রামের গল্প। - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে ভারত যখন চীনকে ছাড়িয়ে গেছে, তখন ভারতেরই বিভিন্ন অংশে এমন জায়গার কথাও শোনা যাচ্ছে যেখানে মানুষের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রজনন হার মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়া আর মানুষ অন্যত্র পাড়ি জমানোয় সেসব জায়গা এখন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। সেখানে এখন মূলত বয়স্কদেরই আবাস। প্রায় শূন্য পড়ে থাকা বিশাল ঘর-বাড়ি, আর বৃদ্ধাশ্রমে ভিড়। কেরালার তেমন এক শহর কুম্বানাড ঘুরে দেখেছেন বিবিসির সৌতিক বিশ্বাস।

কেরালার নিষ্প্রাণ একটি শহরে বছরের পর বছর ধরে স্কুলগুলোতে চলছে এক অদ্ভুত অবস্থা। সেখানে রয়েছে শিক্ষার্থীর অভাব এবং শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রী খুঁজে নিয়ে আসতে হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনতে তাদের পকেট থেকে টাকাও খরচ করতে হয়।

কুম্বানাডের ১৫০ বছর পুরনো একটি বিদ্যালয়ে ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকেও প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত, কিন্তু এখন সে সংখ্যা নেমে এসেছে ৫০-এ। ওই স্কুলে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে।

শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের, যারা শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। গ্রেড সেভেন বা সপ্তম শ্রেণির ক্লাসটিই সবচেয়ে বড়, সেখানে শিক্ষার্থী মাত্র সাতজন। ২০১৬ সালে ক্লাসটিতে মাত্র একজন শিক্ষার্থী ছিল।

বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। শিক্ষার্থীদের অটোরিকশা বা টুকটুকে স্কুলে আনা-নেয়া করতে স্কুলটির আটজন শিক্ষক প্রত্যেকে মাসে দুই হাজার ৮০০ রুপি খরচ করেন। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী খোঁজেন। এলাকার কয়েকটি বেসরকারী স্কুলও শিক্ষার্থী খোঁজার জন্য শিক্ষকদের পাঠাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় স্কুলটিতেও শিক্ষার্থী বড়জোর ৭০ জন হবে।

এক বিকেলে ওই প্রাইমারি স্কুলটির বাইরে ছিল এক অদ্ভুত নির্জনতা। ব্যস্ত বিদ্যালয়ে পড়াশোনা আর শিক্ষার্থীদের যেমন কোলাহল থাকে, তার কিছুই ছিল না। বরঞ্চ শিক্ষকরা অন্ধকার, নিরিবিলি শ্রেণিকক্ষে কয়েক শিশুকে পড়াচ্ছিলেন। বাইরে কয়েক ছাত্রকে অলসভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল।

অধ্যক্ষ জয়াদেবি আর বলেন, ‘আমরা কী করব? এই শহরে কোনো ছেলেমেয়ে নেই। মানে, এখানে খুব কম মানুষই বাস করে।’

তিনি ভুল বলেননি। কেরালার পাথানামতিত্তা জেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কুম্বানাডে জনসংখ্যা কমছে এবং বার্ধক্য বাড়ছে। এটি এমন একটি দেশে যেখানে ৪৭ ভাগ লোকের বয়স ২৫ বছরের নিচে এবং দুই-তৃতীয়াংশের জন্ম হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে, যখন অর্থনীতিকে উদার করেছিল ভারত।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আশা সিজে জানান, ‘কুম্বানাড এবং এর আশেপাশের অর্ধ-ডজন গ্রামে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বাড়ি। ১১ হাজার ১১৮টি ঘরের প্রায় ১৫ ভাগ তালাবদ্ধ থাকে। কারণ মালিকরা হয় অন্যত্র পাড়ি দিয়েছে বা তাদের সন্তানদের সাথে বিদেশে বসবাস করছে।’

২০টি স্কুল আছে, কিন্তু শিক্ষার্থী খুব কম। একটি হাসপাতাল, একটি সরকারি ক্লিনিক, ৩০টিরও বেশি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং তিনটি বৃদ্ধাশ্রম সেখানকার বয়স বাড়তে থাকা জনগোষ্ঠীর দিকেই ইঙ্গিত করে। আধা কিলোমিটারের মধ্যে আটটি শাখাসহ দুই ডজনেরও বেশি ব্যাংক রয়েছে, যারা শহরের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। গত বছর ভারতে যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে তার প্রায় ১০ ভাগ ঢুকেছে কেরালাতেই।

কেরালা ও প্রতিবেশী তামিলনাড়ু ভারতের অন্য জায়গার তুলনায় কিছুটা আলাদা। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে হওয়া সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী এক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল অন্য রাজ্যের তুলনায় সর্বনিম্ন (৪.৯ শতাংশ)। আবার কেরালায় একজন নবজাতকের ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও ভারতের গড় আয়ু ৬৯ বছর।

প্রজননের হার এতটাই কমেছে যে জনসংখ্যার সমতা ধরে রাখতে যতটা প্রয়োজন তার নিচে চলে গেছে। সাধারণত জনসংখ্যার হার স্থিতিশীল রাখতে প্রজননের হার প্রতি নারীর জন্য দুই দশমিক এক থাকে, কিন্তু কেরালায় সেটা এক দশমিক সাত থেকে এক দশমিক নয় অন্তত ৩০ বছর ধরে। ছোট পরিবারগুলো সন্তানদের ভালোভাবে শিক্ষিত করায় জোর দেয়। ফলে, ভালো কাজের সুযোগ খুঁজতে তরুণরা মা-বাবাকে বাড়িতে রেখে দেশের অন্যত্র বা বিদেশে পাড়ি দেয়।

মুম্বাই-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক কে এস জেমস বলেন, ‘শিক্ষা শিশুদের জন্য একটা ভালো চাকরি ও জীবনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে এবং তারা অন্যত্র চলে যায়। তাদের জন্মস্থানে সাধারণত বয়স্ক মা-বাবারাই থাকেন, তাদের মধ্যে অনেকেই একা থাকেন।’

মেটালে তৈরি মূল ফটকের ভেতরের দোতলা বাড়িতে ৭৪ বছর বয়সী আন্নাম্মা জ্যাকব একা থাকছেন তার স্মরণকালের প্রায় পুরোটা সময়। তার স্বামী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি তেল কোম্পানির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, যিনি ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে মারা যান। তার ৫০ বছর বয়সী ছেলে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আবু ধাবিতে বসবাস করছেন এবং কাজ করছেন। একটি মেয়ে কয়েক মাইল দূরে থাকেন, কিন্তু তার স্বামী তিন দশক ধরে দুবাইতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।

তার পাশের বাড়ির প্রতিবেশীরা কেউ নেই। এক মেয়ে তার বাড়ি তালাবদ্ধ করে মা-বাবাকে বাহরাইনে নিয়ে গেছেন, যেখানে সে নার্স হিসেবে কাজ করছিলন। অন্য আরেকজন দুবাইতে চলে গেছেন এবং একটি বয়স্ক দম্পতিকে তাদের জায়গা ভাড়া দিয়েছেন।

পুরো এলাকাজুড়েই নির্জনতার ছাপ। ট্যাপিওকা, কলা ও সেগুন গাছে ঘেরা, দামি উঠানসমেত সুন্দর বাড়িগুলো জনমানবশূন্য। গাড়ি চলার পথে শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং গাড়িগুলো ধুলোয় ঢাকা। পাহারাদার কুকুরের জায়গা নিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

ভারতের বিশৃঙ্খল ও কোলাহলপূর্ণ শহরগুলোর বিপরীতে কুম্বানাডের কিছু অংশ আসলেই বেশ নির্জন। সেখানে ঘড়ির কাঁটাও যেন থমকে গেছে। শহরটি অনেকটাই পরিত্যক্ত হলেও এখনো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়নি। নির্জন বাড়িগুলোতে নিয়মিত রঙ করানো হয়, যেন মনে হয় এই বুঝি যেকোনোদিন লোক আসবে। যদিও তারা খুব কমই আসে।’

আন্নাম্মা জ্যাকব বলেন, ‘এটি খুব নিঃসঙ্গ একটা জীবন। আমার স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে না।’

হৃদরোগ ও বাতের সমস্যা সত্ত্বেও, জ্যাকব তার ছেলে ও নাতি-নাতনিদের সাথে সময় কাটানোর জন্য বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। জর্ডান, আবুধাবি, দুবাই ও ইসরাইলে তার সন্তানদের সাথে বেড়িয়েছেন।

কার্পেটে ঢাকা লিভিং রুমের চার দিকে ছড়িয়ে থাকা জিনিসপত্রগুলো থেকে তার বিশ্বের সাথে যোগসূত্র আঁচ করা যায়। আমদানি করা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, পেস্তা ও কাজুবাদাম, হলুদ কাগজের ফুলে ঠাসা চীনা ফুলদানি এবং বিদেশী বডি ওয়াশের বোতল।

একা থাকতে কেন ১২ কামরার বিশাল বাড়ি বানালেন, জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, ‘এখানে সবাই বিশাল বাড়ি তৈরি করে। এর সাথে স্ট্যাটাসের সম্পর্ক।’

তিনি তার বাড়ির পেছনের উঠানে গড়া খামারে অনেক সময় ব্যয় করেন। সেখানে তিনি ট্যাপিওকা, কলা, আদা, ইয়াম ও কাঁঠাল চাষ করেন। অন্য সময়ে, তিনি মেডিটেশন বা ধ্যান করেন এবং সংবাদপত্র পড়েন। তার ডায়ানা নামে একটা পোষা কুকুর আছে, যেটি বাইরে একটি ঘরে থাকে।

তিনি বলেন, ‘কিছু দিন, আমি শুধু ডায়ানার সাথে কথা বলি। সে আমাকে বোঝে।’

এই বয়সে এবং স্বাস্থ্যের অবনতির সাথে খামারে কাজ করা ক্লান্তিকর। জ্যাকব বলছিলেন যে খামারে কাজ করার জন্য লোক নেয়ার সামর্থ্য নেই তার। যেহেতু শ্রমিকের সংখ্যা কম, তাই যাদের পাওয়া যায় তাদের কাজের মজুরি অনেক বেশি। একজন দিনমজুর খামার দেখাশোনা করতে ছয় ঘণ্টার জন্য এক হাজার টাকা নেয়। এমনকি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আশা সিজে গ্রাম পরিষদের বিভিন্ন খতিয়ান ডিজিটাইজ করতে লোক খুঁজে পান না বা তার সামর্থ্যে কুলায় না।

কয়েক গলি দূরেই থাকেন চাকো মাম্মেন। হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগলেও তার ছোট্ট খামারে প্রতিদিন চার ঘণ্টা কাজ করে কলা চাষ করেন। ৬৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত তিন দশক ধরে ওমানে কাজ করতেন বিক্রয়কর্মী হিসেবে। দেশে ফিরে ছোট একটি ব্যবসা করলেও ছয় বছরের মাথায় বন্ধ করে দিতে হয় কাজ করার লোক খুঁজে না পাওয়ায়। এখন অনেক চেষ্টার পর তিনি খামারে কলার চাষ করেন এবং প্রতিদিন প্রায় ১০ কেজি কলা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘আমার শুধু একজন কর্মী নেয়ার সামর্থ্য নেই।’

বার্ধ্যক্যের এমন সমাজে শ্রমশক্তি বাড়ানো সহজ কথা নয়। বাইরে থেকে আসা লোক দিয়েও সবসময় কাজ হয় না, বিশেষত আস্থার প্রশ্নে। যেমন জ্যাকব বাইরের লোক নিতে চান না।

তিনি বলেন, ‘আমি একা থাকি, যদি তারা আমাকে মেরে ফেলে?’

তবে বয়স্ক মানুষ ও বন্ধ ঘরের এই শহরে অপরাধ খুব কমই হয়।

পুলিশ জানায়, এখানে সহজে চুরি হয় না। কারণ লোকেরা বাড়িতে বেশি টাকা বা মূল্যবান জিনিসপত্র রাখে না। শেষ কবে খুন হয়েছিল তাও তাদের মনে নেই।

স্থানীয় থানার চিফ ইন্সপেক্টর সাজিশ কুমার ভি বলেন, ‘এমনিতে সবই খুব শান্তিপূর্ণ। আমরা শুধুমাত্র প্রতারণার অভিযোগ পাই। বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের আত্মীয় বা গৃহকর্মীর দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে, যারা তাদের স্বাক্ষর জাল করে এবং ব্যাংক থেকে তাদের টাকা তুলে নেয়।’

এক বছর আগে, একজন বয়োবৃদ্ধ বাসিন্দার এক আত্মীয় তার স্বাক্ষর জাল করে প্রায় এক কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছিল। গত বছর পুলিশ একটি বেসরকারি আর্থিক সংস্থার চারজনকে গ্রেফতার করেছিল। এরা দোকান করে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে টাকা নিচ্ছিল এবং স্থানীয় প্রায় ৫০০ আমানতকারী পুলিশের কাছে এর অভিযোগ করে।

সাজিশ কুমার বলেন, ‘এটি এই এলাকার জন্য একটি বড় অপরাধ ছিল। এছাড়া আমরা প্রধানত এলাকাবাসীদের মধ্যে ছোটখাটো বিবাদ নিয়ে কাজ করছি। শব্দ বা বাড়ির বাইরে আবর্জনা ফেলা বা কারো গাছের ডাল প্রতিবেশীর খামারে ঢুকে যাওয়া। এই ধরণের ব্যাপারগুলো।’

অপরাধ কম থাকার অর্থ পুলিশ বেশিরভাগ সময় বয়োবৃদ্ধদের দেখাশোনা করতে পারে। তারা এমন ১৬০ জন নিঃসঙ্গ এবং অসুস্থ মানুষের খোঁজ খবর নেয়। নিরাপত্তার জন্য তাদের কিছু বাড়িতে পুলিশ মোবাইল অ্যালার্ম দিয়েছে যেন জরুরি পরিস্থিতিতে তারা প্রতিবেশীদের সতর্ক করতে পারেন। প্রয়োজনে তাদেরকে হাসপাতালে বা বৃদ্ধাশ্রমেও নিয়ে গেছে পুলিশ।

বার্ধক্য এখানে একমাত্র সমস্যা, বলেন ফাদার টমাস জন, যিনি কুম্বানাডে একটি বৃদ্ধাশ্রম চালান

এই শহরে হুইলচেয়ার ব্যবহারযোগ্য তিনটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। যেখানে খোলামেলা জায়গা, বড় দরজা এবং হলওয়ে আছে। তেমনই ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাঁচতলা ভবনের এক বৃদ্ধাশ্রম আলেকজান্ডার মার্থোমা মেমোরিয়াল জেরিয়াট্রিক সেন্টার। সেখানে ৮৫ থেকে ১০১ বছর বয়সী ১০০ জনের বেশি স্থানীয় ব্যক্তিদের সেবা দিচ্ছে। এই সেন্টারটি যিনি চালান সেই ফাদার টমাস জনের দৃষ্টিতে ‘বার্ধ্যক্য এখানে একমাত্র সমস্যা।’

তিনি বলছিলেন, ‘অধিকাংশ সন্তান বিদেশে থাকে এবং বৃদ্ধ মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে স্থানান্তর করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।’

অদূরেই ধর্মগিরি নামের আরেক বৃদ্ধাশ্রমে ৬০ জন স্থানীয় বাসিন্দা থাকেন, যাদের বয়স ৬০ এর বেশি।

গত বছর ৩১ জন নতুন ভর্তি হয়েছিল। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ভবন আলাদা। তবে ওয়েটিং লিস্ট ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে। নতুন আরেকটি ৩০ কক্ষের ভবনে ৬০ জন অপেক্ষমাণ প্রবীণদের রাখা হবে।

আশ্রমটি পরিচালক ফাদার কে এস ম্যাথিউস বলেন, ‘আমাদের সাথে যেসব মহিলারা থাকেন তাদের বেশিরভাগই প্রতারণার শিকার। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে তাদের পরিবার পরিত্যাগ করেছে।

অসুস্থ প্রবীণ, বৃদ্ধাশ্রম, শ্রমিকের অভাব, তরুণদের অভিবাসন, ক্রমশ কমতে থাকা জনসংখ্যা- পরিণাম এক ভুতুড়ে শহর।

অধ্যাপক জেমস বলেন, ‘এটাই যে কোনো ডেমোগ্রাফি পরিবর্তনের একটা গল্প। শেষ পর্যন্ত এটা পুরো ভারতেরই গল্প হবে।’

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement