২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৩ সপ্তাহের আমদানি ব্যয়ও মেটাতে পারবে না পাকিস্তান

শেহবাজ শরিফ - ছবি : সংগৃহীত

ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে পাকিস্তানি রুপির মান। গতকাল বৃহস্পতিবার রুপির এ অবনমন হয়। এর ফলে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ অর্থ দিয়ে ১৮ দিনের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, স্থানীয় বিনিয়োগ কোম্পানি আরিফ হাবিব লিমিটেড জানিয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের কাছে ৩ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি রিজার্ভ ১৬ শতাংশ কমে এ পরিমাণে দাঁড়িয়েছে। এ পরিমাণ ডলার দিয়ে ১৮ দিনের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর রিজার্ভের পরিমাণ এবারই এত নিচে নামল। ১৯৯৮ সালের পর এত কম দিনের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ দেখেনি পাকিস্তান।

এদিকে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে পাকিস্তান। তবে আইএমএফ এ জন্য যেসব শর্ত দিয়েছে তাকে ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তবে দেশের প্রয়োজনে তা মেনে নিতে হবে বলেও জানান তিনি।

গত কয়েক মাস ধরে ঋণের ব্যাপারে আইএমএফের সাথে পাকিস্তান সরকারের আলোচনা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সে স্থবিরতা কাটিয়ে আবারো আলোচনা শুরু করে দুই পক্ষ। গত মঙ্গলবার আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তানে পৌঁছায়।

পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ। এসবের মধ্যে আছে কর বাড়ানো ও ভর্তুকি কমানো। এ শর্তে পাকিস্তান সরকার আশঙ্কা করছে, আগামী অক্টোবরের নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

আজ শুক্রবার দেয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমি বিস্তারিত প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। শুধু বলব, আমরা অকল্পনীয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। আইএমএফের যে শর্তগুলো আমাদের মানতে হবে তা ধারণাতীত। তবে আমাদের শর্তগুলো মেনে নিতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement