২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৩ দিনে ক্ষতি ৬৫ বিলিয়ন ডলার, জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো ধ্বংসযজ্ঞের শিকার আদানি!

গৌতম আদানি - ছবি : সংগৃহীত

এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন ভারতের আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম সোমবার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে তিন দিনে গ্রুপটির ক্ষতি হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আদানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা যগেশিন্দার সিং এই পতনকে ব্রিটিশ আমলে পাঞ্জাবের অমৃতসর নগরীর জালিয়ানওয়ালাবাগের ধ্বংসযজ্ঞের সাথে তুলনা করেছেন।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ নামে যুক্তরাষ্ট্রের লগ্নি-সংক্রান্ত গবেষণাকারী একটি প্রতিষ্ঠানের একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই আদানিদের শেয়ারের দাম হ্রাস পাচ্ছেই। মার্কিন সংস্থাটির দাবি, আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে বিপুল পরিমাণে ঋণের বোঝা রয়েছে। এছাড়া অ্যাকাউন্টিংয়েও সমস্যা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে তারা। এর পাশাপাশি তারা দাবি করেছে, আদানি গ্রুপ 'বহু বছর ধরেই অভাবনীয় স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতিতে জড়িত।'

আদানি গ্রুপ অবশ্য এই রিপোর্ট 'ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে উল্লেখ করেছে। তবে হিন্ডেনবার্গ পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, 'রিপোর্ট যদি সত্যিই ভুল হয়, আদানি গ্রুপ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে তা প্রমাণ করুক।' আদানি গোষ্ঠী এরপরও হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট ভুয়া বলে জানিয়েছে। আর মার্কিন সংস্থাও তাদের অবস্থানে অনড়।

আদানি গোষ্ঠীর যাবতীয় যুক্তি নাকচ করে হিন্ডেনবার্গ বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জালিয়াতি জালিয়াতিই। এভাবে পৃথিবীর অন্যতম ধনী হলেও তা জালিয়াতিই।’

আদানি গোষ্ঠীর জবাব প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা উত্তরে দেয় হিনডেনবার্গ জানিয়েছে, ‘মূল বিষয়গুলো থেকে নজর ঘোরাতেই ওই গোষ্ঠী জাতীয়তাবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। নিজের ও সংস্থার মাত্রাছাড়া শ্রীবৃদ্ধিকে দেশের উত্থানের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু আমরা একমত নই। কারচুপি কারচুপিই।’

সব মিলিয়ে বর্তমানে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে আদানি গ্রুপের সাতটি সংস্থার শেয়ার। এগুলো হচ্ছে আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পাওয়ার, আদানি উইলমার অ্যান্ড আদানি পোর্টস এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোন। সোমবার এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ৫ থেকে ২০ ভাগ পর্যন্ত হ্রাস পায়।

এ প্রেক্ষাপটে আদানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা যগেশিন্দার সিং ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক হারে শেয়ার বিক্রিকে ব্রিটিশ আমলে পাঞ্জাবের অমৃতসর নগরীর জালিয়ানওয়ালাবাগের ধ্বংসযজ্ঞের সাথে তুলনা করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল এক ব্রিটিশ অফিসার প্রায় ৫০ জন ভারতীয় সেনাবাহিনী সদস্যকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বেসামরিক লোকদের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেন। এতে অন্তত ৩৭৯ জন নিহত হয় বলে সরকারি ভাষ্যে বলা হয়। তবে স্থানীয় অধিবাসীরা সংখ্যাটি অনেক বেশি বলে জানান।

যগেশিন্দার সোমবার প্রকাশিত মিন্ট বিজনেস দৈনিকে প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে বলেন, /জালিয়ানওয়ালাবাগে মাত্র একজন ইংরেজ নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং ভারতীয়রা অন্য ভারতীয়দের ওপর গুলি চালিয়েছিল। ফলে আমি কি কোনো কোনো ভারতীয়ের আচরণে বিস্মিত? না।'

সূত্র : ডেইলি সাবাহ ও অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement
চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে

সকল