২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিয়ানমারের যুদ্ধবিমানের জন্য আকাসসীমা বন্ধ করে দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত - ছবি : টুইটার

মিয়ানমার বাহিনী ভারত সীমান্ত বরাবর বিদ্রোহীদের ওপর হামলা করতে ভারতের আকাসসীমা ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক একটি মানবাধিকার গ্রুপ।

ফরটিফাই রাইটস নামে গ্রুপটি এ আক্রমণের জন্য মিয়ানমারকে তাদের সীমান্ত ব্যবহার করতে না দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

গ্রুপটি বলছে, মিয়ানমারের বিমান বাহিনী মঙ্গলবার ও বুধবার ভারত সীমান্ত বরাবর নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চিন বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে মারাত্মক আক্রমণ চালিয়েছে। এ সময় সীমান্তের উভয় পাশে বোমা ফেলা হয়।

এ হামলায় চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (সিএনএফ) পাঁচজন যোদ্ধা নিহত হয়। এর মধ্যে দুজন নারীও রয়েছে।

মিয়ানমারের চিন রাজ্যের ক্যাম্প ভিক্টোরিয়ায় মঙ্গলবার নৃতাত্ত্বিক এ সশস্ত্র গ্রুপটিকে লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়। এ রাজ্যটি ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা।

মিয়ানমার বাহিনীর ফেলা দুটি বোমা সীমান্তের ভারতীয় অংশে মিজোরামের চামফাই জেলার ফারকাউন গ্রামে পড়ে। তবে এতে ভারতীয় অংশে কেউ আহত হয়নি বলে জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীটি।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ফরটিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথেউ স্মিথ বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা সরকারের এমন অবৈধ অনুপ্রবেশ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মেনে নেয়া উচিত নয়। সেইসাথে ভারত সরকারকে অবশ্যই তার সীমান্তবর্তী সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

‘ভারত অবশ্যই তার আকাশসীমা ব্যবহার করে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার অনুমতি দেবে না মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে। অপরাধের জন্য জান্তাকে জবাবদিহি করানোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা উচিত ভারতের,’ বলেছিলেন তিনি।

মানবাধিকার গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের আকাসসীমাও লঙ্ঘন করেছে।

পশ্চিম মিয়ানমারের চিন সংখ্যালঘু গোষ্ঠী সিএনএফ। তারা মূলত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। এদের সংগঠন সিএনএফের মুখপাত্র সালাই হতেত নি জানিয়েছে, বুধবার মিয়ানমার বাহিনী সাতটি বোমা ফেলেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, এ বিমান হামলায় আমাদের অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। একটি বোমা ভারতের অভ্যন্তরেও পড়েছে।

এএফপির খবর অনুযায়ী, ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, বোমাগুলো ভারত ও মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নদীতে পড়েছে।

চামফাই জেলা পুলিশ সুপার লালরিনপুইয়া ভারতে এএফপিকে বলেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি যে হামলায় আমাদের কারো জীবন বা সম্পদের কোনো ক্ষতি হয়নি।’

এএফপি’র সূত্রমতে, সিএনএফ ২০১৫ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে সিএনএফের সশস্ত্র সদস্য সংখ্যা কমে এসেছে। তবে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বাহিনীগুলোর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সিএনএফ।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement