২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তবুও নূপুরকে গ্রেফতার করবে না ভারতীয় পুলিশ!

তবুও নূপুরকে গ্রেফতার করবে না ভারতীয় পুলিশ! - ছবি : সংগৃহীত

টেলিভিশনের এক বিতর্কসভায় মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা:-কে নিয়ে কটূক্তির জের ধরে ভারত ও অন্য অনেক দেশে আগুন জ্বলছে বলে অভিযোগ। যার জেরে বিভিন্ন জায়গায় দায়ের হয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ এফআইআর। শুক্রবারই ভারতর সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন তিনি। সমালোচনার মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশের ভূমিকাও। তবে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে আদৌ গ্রেফতার করা হবে কি না তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে দিল্লি পুলিশ। সূত্রের দাবি, দিল্লির পুলিশের তদন্তে নূপুর নাকি সহযোগিতা করছেন।

সূত্রের আরো দাবি, নূপুরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়ে শুক্রবার সারা দিন ধরেই বৈঠকে বসেছেন পুলিশকর্তারা। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন) কেপিএস মলহোত্র জানিয়েছেন, ১৮ জুন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১-এ ধারায় নূপুর শর্মাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নূপুরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেয়া এবং সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে মামলা রুজু করার পর ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ তার বয়ানও রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে ওই নোটিশের পর প্রায় দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেফতার হননি নূপুর। সুপ্রিম কোর্টের কাছে নূপুরের আবেদন ছিল যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার বিরুদ্ধে করা সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে সরিয়ে আনা হোক। তবে সেই আর্জি খারিজ করে নূপুরকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার লঘু মন্তব্যই ভারতে আগুন জ্বালিয়েছে বলে শুক্রবার বলেছে শীর্ষ আদালত। সেই সাথে দিল্লি পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলেননি বিচারপতিরা। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, দিল্লি পুলিশ কী করেছে? ওই টিভি বিতর্কের কী প্রয়োজন ছিল? আদালতে বিচারাধীন বিষয়ই বা কেন টিভি বিতর্কের জন্য বেছে নেয়া হলো? তিনি (নূপুর) একটি রাজনৈতিক দলের (তৎকালীন) মুখপাত্র হলেই বা কী? তিনি কি মনে করেন, আইনকে অশ্রদ্ধা করে যে কোনো মন্তব্য করতে পারেন?

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement