২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
কোভিডে মৃত্যু বাবার, মা শয্যাশায়ী

মানসিক অবসাদে ‘আত্মহত্যা’ একই পরিবারের ৩ সদস্যের

কোভিডে মৃত্যু বাবার, মা শয্যাশায়ী -

কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন বাবা। মা শয্যাশায়ী। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দুই মেয়ে। চূড়ান্ত হতাশায় কি চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনজন? ভারতের দিল্লির বসন্ত বিহারে বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধারে উঠছে নানা প্রশ্ন।

পুলিশ লাশগুলো ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আত্মহত্যা নাকি খুন করা হয়েছে তাদের, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।

দিল্লির বসন্তবিহার এলাকার বসন্ত অ্যাপার্টমেন্ট সোসাইটিতে দুই মেয়ে অংশিকা ও অঙ্কুকে নিয়ে থাকতেন মঞ্জু। গত বছরই কোভিডের করাল থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন তার স্বামী। তারপর থেকে বিছানা ছাড়ার ক্ষমতাও হারিয়েছেন মঞ্জু।

প্রতিবেশীদের দাবি, একের পর এক ঝড়ঝাপটায় যেন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল গোটা পরিবার। প্রতিবেশীদের সাথে সেভাবে মেলামেশাও করতেন না মা-মেয়েরা। একা একাই থাকতেন তারা।

দিনকয়েক তাদের দেখতে পাওয়া যায়নি। ফ্ল্যাটের দরজাও খুলতে দেখা যায়নি কাউকে। প্রতিবেশীরা দু-একবার দরজা ধাক্কা দিয়েছেন। তবে কারো কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন তারা। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজায় ধাক্কা দেন পুলিশকর্মীরা। কারো কোনো সাড়াশব্দ পাননি তারাও। এরপর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা।

ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে কার্যত অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। তারা দেখেন, ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছে মা ও দুই মেয়ের নিথর লাশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছে, ঘরে ফায়ারপ্লেসে আগুন জ্বলছিল। দরজা বন্ধ ছিল। তার ফলে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে তাদের। মৃতলাশগুলোর পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে। তবে ওই সুইসাইড নোটের বয়ান সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তারা। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement