ভারতের মানবাধিকার ইস্যুতে সমালোচনায় মুখর সাবেক উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৪৫
ভারতের গণতন্ত্রের উৎসব উদযাপনের দিবস হিসেবে যে দিনটিকে ধরা হয়, সেই ২৬ জানুয়ারি ২০২২-এ যখন সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত উৎসবে মুখরিত, তখন ওয়াশিংটনে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে কার্যত মোদি সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ভারতের সাবেক উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। তিনি দেশের মানবাধিকারের পরিস্থিতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওই অনুষ্ঠানে। আর তার বক্তব্যের পরই দোলাচল শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনীতিতে।
হামিদ আনসারি ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ছিলেন চার মার্কিন রাজনীতিবিদও।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাবেক উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সিভিক ন্যাশনালিজম’কে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তার জায়গায় একটি কল্পনাধর্মী ‘কালচালার ন্যাশনালিজম’ তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থাৎ নাগরিক জাতীয়তাবাদকে সরিয়ে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ জায়গা দখল করছে বলে বক্তব্য রাখেন হামিদ আনসারি।
উল্লেখ্য, দেশের সাবেক উপরাষ্ট্রপতির পরিচিতি ছাড়াও ভারতের সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্য ও ভারতের নামী কূটনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে হামিদ আনসারির।
রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করা নিয়েও এদিন বক্তব্য রাখেন ভারতের এই সাবেক উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষমতা পেতে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচনী সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে নাগরিকদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। সামনে আসছে অসহিষ্ণুতার মানসিকতা।’
এরই সাথে তিনি বলেন, ‘একটি পক্ষের উপর কর্তৃত্ব কায়েম করার চেষ্টা চলছে। অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতার প্রচার চলছে।... এই প্রবণতার সাথে লড়তে হবে আমাদের। জবাব দিতে হবে আইনি ও রাজনৈতিক পথে।’
এই অনুষ্ঠানে মার্কিন ডেমোক্রেটিক সিনেটর এড মার্কে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জিম ম্যাকগভার্ন, অ্যান্ডি লেভিন জেমি রাসকিন।
১৭টি মার্কিন সংগঠন মিলে ইন্ডিয়ান-আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল গঠন করে এই সভা আয়োজন করা হয়েছিল।
ওই অনুষ্ঠানে হামিদ আনসারির বক্তব্যের পর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির তরফে একাধিক পাল্টা বার্তা উঠে এসেছে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা