'কারফিউ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নের মাধ্যমে কাশ্মিরি তরুণদের জীবন বেঁচেছে'
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১৯:১৫
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন অধিকার বিলোপের পর সাবেক এই রাজ্যটিতে কারফিউ ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে কাশ্মিরি তরুণদের জীবন রক্ষা পেয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মিরে তিনদিনের সফরে আসা অমিত শাহ শনিবার বর্তমানে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলটির রাজধানী শ্রিনগরের ইউথ ক্লাব সদস্যদের এক সভায় এই মন্তব্য করেন।
অমিত শাহ বলেন, কাশ্মিরে কেউ কেউ কারফিউ শিথিল করার কথা বলছে, যাতে করে তরুণদের খুনের মাধ্যমে রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিল করা যায়।
তিনি বলেন, সরকারি বাহিনী, বেসামরিক নাগরিক ও সশস্ত্র যোদ্ধাসহ জম্মু ও কাশ্মিরে প্রায় ৪০ হাজার লোক নিহত হয়েছে।
অমিত শাহ বলেন, 'আমাদের এই অবস্থা বন্ধ করতে হবে। কেননা উন্নয়ন ও সশস্ত্র তৎপরতা একত্রে চলতে পারে না।'
তিনি বলেন, 'বিভিন্ন গোষ্ঠী ৫ আগস্টের ঘটনার পর সহিংসতা সৃষ্টি করার চেষ্টায় থাকায় জরুরি ব্যবস্থায় কারফিউ দিতে হয়।'
ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ কাশ্মিরি তরুণদের প্রাণ রক্ষা করেছে। সবকিছুই স্বাভাবিক আছে, সকল কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। তরুণরা পড়াশোনা করছে। পর্যটকরাও আসছে।'
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতীয় সরকার। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫ (ক) নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশের মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে পুরোপুরো কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত শাসনের অধীনে নিয়ে আসা হয়। সংবিধানের এই ধারা ও অনুচ্ছেদের মাধ্যমে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিলো।
কাশ্মিরের বিশেষ এই মর্যাদা বাতিলের পরপরই ওই অঞ্চলে কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে ভারত সরকার।
সূত্র : কাশ্মিরওয়ালা