২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

চীন-ভুটানের সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর, ভারতকে নিশানা বেইজিংয়ের

চীন ভুটানের সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর, ভারতকে নিশানা বেইজিংয়ের - ছবি সংগৃহীত

সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে চুক্তি স্বাক্ষর ভুটান ও চীনের। বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত হওয়া এই চুক্তিকে ‘তিন পদক্ষেপ রোডম্যাপ’ চুক্তি বলছে দু'পক্ষ। ১৪ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু'দেশ এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তিতে সই করা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহকারী উ জিয়াংহাও বলেন, 'আমি মনে করি এই চুক্তি দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে সহায়তা করবে।' অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত।

গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চীন ও ভুটানের মধ্যেকার সমস্যা ভারতের জন্যই নাকি সমাধান করা যায়নি। ভারতই নাকি সেক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চীন-ভুটানের স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারক-চুক্তির আওতায় রয়েছে দোকলাম সীমান্ত। এখানেই রয়েছে তিন দেশের সীমান্ত। এই অংশে চীন চার বছর আগে সড়ক স্থাপনের কাজ শুরু করতে চাইলে তাতে বাধা দেয় ভারত। ওই প্রসঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিল দু'দেশের সেনাও। ফলে এই চুক্তি বিষয়ক ব্যাপারের উপর সতর্ক নজর রাখছে ভারত।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ও ভুটান বন্ধুত্বপূর্ণ দুই প্রতিবেশী। প্রাচীনকাল থেকেই দু'দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব রয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, এই চুক্তি কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরো জোর দেবে। একইসাথে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে বলা হয়েছে, এই সমঝোতা স্মারক-চুক্তির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।

উ জিয়াংহাও এদিন বলেন, 'চীন ভুটানের একটি ভালো প্রতিবেশী দেশ, বন্ধু ও পার্টনার। দু'দেশের একে অপরকে প্রতি সমান আচরণ করা উচিত। পাশাপাশি সকলের শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা উচিত।' চীনা বিবৃতিতে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'সমঝোতা স্মারক চুক্তি বাস্তবায়নে ভুটান চীনের সঙ্গে কাজ করবে ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে।'

জানা গেছে, ভারতে থাকা চীনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া ভারতে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভেটসপ নামগিয়েলও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছে বেইজিং।

চীনা সংবাদমাধ্যমগুলো এই চুক্তিকে বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখছে। তবে, ভারতের জন্য এটি মোটেই স্বস্তিদায়ক বিষয় না। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। টুইট করে রাহুল লেখেন, 'ভারত সরকারের বিদেশ নীতি : কীভাবে বন্ধু হারাতে হয় এবং কারোর উপর প্রভাব না ফেলতে হয়।'
সূত্র : এই সময়

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২

সকল