২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

একসময়ের কারাবন্দীরা এখন কাবুল কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে

আফগানিস্তানের কাবুলের ‘পুল-ই-চরখি’ কারাগার - ছবি : সংগৃহীত

একসময় কাবুলের প্রধান কারাগার ছিল হাজারো তালেবান বন্দী আটক রাখার স্থান। মর্কিন সেনা ও তাদের মদদপুষ্ট আফগান সেনাদের হাতে গ্রেফতার তালেবান সদস্যদের গাদাগাদি করে এ কারাগারে রাখা হতো। সোমবার তালেবান কর্তৃপক্ষের এক কমান্ডার ওই কাবুল কারাগারের খালি হল ও সেলগুলোতে পায়চারি করছিলেন। তিনি তার সহকর্মী বন্ধুদের দেখাচ্ছিলেন যে কাবুল কারাগারের কোন সেলে তিনি বন্দী ছিলেন।

মাসখানেক আগে তালেবান কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুতগতিতে আফগানিস্তান ও রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর মার্কিন ও পশ্চিমা মদদপুষ্ট আফগান সরকারের পতন হয়। ২০ বছর যুদ্ধ করে তালেবান কর্তৃপক্ষ এ সাফল্য অর্জন করে।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর তালেবান সদস্যরা এখন কাবুলের প্রধান কারাগারটিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কারাগারটি পুল-ই-চরখি নামে পরিচিত। কাবুলের পূর্বাংশে অবস্থিত এ কারাগারটি বিশাল আকারের। কাবুল শহর দখল করার পর তালেবান কর্তৃপক্ষ এখানকার প্রধান কারাগারের সকল বন্দীকে মুক্ত করে দেয়। এ সময় কারাগারে দায়িত্বরত সরকারি কারারক্ষীরা পালিয়ে যান। এখন বেশ কয়েকজন তালেবান যোদ্ধারা এ কারাগারটি পরিচালনা করছেন, যদিও কিছু দিন আগে তালেবান যোদ্ধারাই এখানে বন্দী হিসেবে ছিলেন।

কাবুল কারাগারের সাবেক বন্দী ওই তালেবান কমান্ডার তার পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি তার বন্ধুদের নিয়ে এ বিশাল কারাগারটি ঘুরে দেখছিলেন। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে তিনি এ ‘পুল-ই-চরখি’ কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের কুনার প্রদেশ থেকে আটক করে এ কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ সময় তার হাত, পা ও চোখ বেঁধে রাখা হতো।

তিনি বলেন, কারাগারে তালেবান ও অন্যান্য বন্দীদের অত্যাচার ও নিপীড়ন করা হতো। আমি মুক্ত হওয়ার আগে এ কারাগারে ১৪ মাসের জন্য বন্দী ছিলাম। এ কারাগারে বন্দী থাকার দিনগুলো ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও কালো অধ্যায়। কিন্তু, (কাবুল জয়ের পর) এখন আমার সবচেয়ে আনন্দের সময়। এখন আমি মুক্ত, এখন এ কারাগারে আসতে আমার কোনো ভয় করে না।

আফগানিস্তানে সোভিয়েত মদদপুষ্ট সরকারের শাসনামলে নির্মিত ‘পুল-ই-চরখি’ কারাগার ছিল খুবই কুখ্যাত এক স্থান। অনেক সহিংসতা, হত্যা ও অত্যাচারের ইতিহাস জড়িয়ে আছে এ কারাগারের সাথে। এখানে বহু গণকবর ও টর্চার সেল আছে। মার্কিন মদদপুষ্ট সরকারের আমলে এ কারাগারের অবস্থা ছিল খুবই ভয়ঙ্কর। এখানে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার বন্দীকে রাখার ব্যবস্থা থাকলেও এখানে ১০ হাজার বন্দীকে আটক করে রাখা হতো।


এখন যে সকল তালেবান যোদ্ধারা এ ‘পুল-ই-চরখি’ কারাগার পরিচালনা করছেন। তাদের অনেকেই আগে এ কারাগারে আটক ছিলেন। অপরদিকে এ কারগারের সাবেক সরকারি কারারক্ষীরা অনেক আগেই পালিয়েছেন, তারা আর ফিরে আসার মতো সাহস করেননি। তাদের ভয় তালেবানরা তাদের ওপর প্রতিশোধ নিবে।

সূত্র : আল-জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি!

সকল