২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দেশে ফিরবেন সেই আফগান পাইলটরা

দেশে ফিরবেন সেই আফগান পাইলটরা - ছবি : সংগৃহীত

তালেবান বাহিনীর কাবুল দখল তখন ছিল সময়ের অপেক্ষা। ভয়ে দেশ ছেড়ে উজবেকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন তারা। আতঙ্কে ছিলেন, ইংরেজি জানেন ও বিমান চালাতে পারেন বলে তালেবান মেরে ফেলবে তাদের। উজবেকিস্তানের শিবিরে আশ্রয় নেয়া ওই সব আফগান বিমানচালকেরা এবার দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পাইলট উজবেকিস্তান ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কারা সকলেই দেশে ফিরে আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। দেশ ছেড়ে পালানো এসব পাইলটকে এক সময়ে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিল আমেরিকা। তালেবান যখন রাজধানী কাবুলের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে, তখন অনেক বিমান নিয়ে উজবেকিস্তান পালিয়ে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তালেবান নেতৃত্ব এখন চাইছেন, ওই পাইলটরা যেন দেশে ফিরে আসেন। সেইসাথে বিমানগুলোও ফেরত চাইছেন তারা। বিমানচালকদের তারা আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের কোনো ক্ষতি করা হবে না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আফগান পাইলট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা এখনো যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন।

আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতর বা নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘে উজবেক মিশন এখনো এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তালেবান নেতৃত্বও কোনো বিবৃতি দেননি। তবে জানা গেছে, উজবেকিস্তানের শিবিরে আফগান পাইলটরা ভয়াবহ অশান্তিতে ছিলেন। কার্যত এক কাপড়ে দেশ ছাড়া এই সব পাইলট ঠিকমতো খাবার পাচ্ছিলেন না, পাচ্ছিলেন না ওষুধ বা পোশাকও। তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরার অনুমতিও দেয়া হয়নি সে দেশে।

ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারসহ মোট ৪৬টি বিমান আফগানিস্তান থেকে উজবেকিস্তান নিয়ে গিয়েছিলেন আফগান পাইলটেরা। সেই সব বিমান কিভাবে আফগানিস্তানে ফেরত আনা হবে, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। উজবেকিস্তানে আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট অবশ্য জানাচ্ছেন, তারা কোনো ভাবেই চান না বিমানগুলো তালেবানের হাতে পড়ুক।

আফগানিস্তানে সরকার বদলের পরে সোমবারই প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হয়েছে কাবুল থেকে। পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইসলামাবাদ থেকে সোমবার সকালে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর,ওই ফ্লাইটে যাত্রীর থেকে কর্মীর সংখ্যা বেশি ছিল। ওই ফ্লাইটটিই অবশ্য কাবুল থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ফের ইসলামাবাদ ফিরে গেছে। যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন আফগান নাগরিক, যারা বিশ্ব ব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের কর্মীদের আত্মীয়।

এত দিন পরে কাবুল বিমানবন্দরে ফের বিমান ওঠা-নামা শুরু হওয়ায় খুশি সেখানকার কর্মীরা। পাকিস্তান এয়ারলাইন্স সূত্রেও জানানো হয়েছে, ফ্লাইটের মাধ্যমে ফের দু’দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় তারা আশাবাদী যে খুব দ্রুত পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement