২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

-

আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা বিঘ্নিত করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে। দেশটি বর্তমানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর এএফপি’র।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের জনসাধারণের জন্য জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাসামগ্রীর সরবরাহসহ মানবিক সহায়তার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা চরম সংকটপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের সহায়তা কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।’

এতে আরো বলা হয়, ‘আফগানিস্তানে মাসের পর মাস ধরে সহিংসতা চলায় দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি সরবরাহের ক্ষেত্রে দেশটিতে ইতোমধ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।’

এমন পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচও বেসামরিক নাগরিক, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও চিকিৎসা স্থাপনা রক্ষার ব্যাপারে সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

তারা জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত ২৬টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয় এবং এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন হামলায় ১২ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত হন। এ ধরনের স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তালেবান যোদ্ধারা দ্রুত গতিতে একের পর এক আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে নেয়ায় দেশটির সরকারের দ্রুত পতন ঘটে। এমনকি আমেরিকান সৈন্য চূড়ান্তভাবে প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা ৩১ আগস্টের আগেই আফগান সরকারের পতন ঘটলো।

কাবুলের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দাতা দেশ আফগানিস্তানের নতুন শাসনের ব্যাপারে নজরদারি বজায় রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তালেবান শাসকরা মানবাধিকার বিশেষ করে নারীদের প্রতি সম্মান জানাবে ওয়াশিংটন এমনটাই আশা করে।

জার্মানি, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন মঙ্গলবার জানায়, তারা আপাতত আফগানিস্তানে উন্নয়ন সহায়তা পাঠানো বন্ধ করে দেবে।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল ও বিশ্বব্যাংক উভয় প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের ব্যাপরে নীরব থাকলেও তারা দেশটিতে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারে।

ডব্লিউএইচও’র বিবৃতিতে বলা হয়, তারা আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এতে আরো বলা হয়, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সবচেয়ে বেশি আফগান জনগণের সহায়তা প্রয়োজন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement