১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মজুত শেষ, থমকে গেছে কাশ্মিরের টিকাদান কর্মসূচি

মজুত শেষ, থমকে গেছে কাশ্মিরের টিকাদান কর্মসূচি - ছবি - সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি কার্যত বন্ধ রয়েছে। অঞ্চলটির অধিকাংশ জেলায় শনিবার এক ডোজ টিকাও না পৌঁছায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে জুম্মু-কাশ্মিরে লকডাউন ২৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, শনিবার উপত্যকাটির ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশের বেশিরভাগ জেলায় এক ডোজ টিকাও পায়নি কেউ। রাজধানী শ্রীনগরেও একই হাল। এ দিন প্রায় দেড় কোটি বাসিন্দার মধ্যে মাত্র ৫০৪ জন টিকা নিয়েছেন। সপ্তাহব্যাপী টিকা সরবরাহ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘এর আগের শনিবার শেষবার টিকার একটি চালান এসেছিল। সব দিয়ে দেয়া হয়েছে। আর কোনো টিকা আমাদের হাতে নেই।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও প্রাণহানি বাড়তে থাকায় কাশ্মিরে লকডাউন ২৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। হাতেগোনা জরুরি কয়েকটি সেবা বাদে সবকিছুই বন্ধ। বাড়ির বাইরে বের হওয়াও নিষিদ্ধ।

করোনার বিস্তার রোধে শ্রীনগরে আসা-যাওয়া বন্ধ; ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখা রাস্তাঘাট। অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে রাজ্যটি থেকে কয়েক হাজার সেনা সদস্যকে কাশ্মিরে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এরপর আরো কঠোর হয়েছে বিধিনিষেধ।

তবে সোমবার থেকে লকডাউন শিথিলের কথা ছিল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে। কাশ্মিরে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণহানি হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। শনাক্ত হয়েছে আড়াই লাখের বেশি। অঞ্চলটিতে পুলিশ ও সেনাসদস্যসহ ২৮ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দুই ডোজ টিকা নিয়েছে মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই।

দেশজুড়ে ১৮ ও তার বেশি বয়সী সবার টিকাদান শুরু হলেও কাশ্মিরে তা হয়নি। পুরো অঞ্চলটিতে কেবল দুটি টিকাকেন্দ্রে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হচ্ছে। তাও দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডোজ করে। টিকা সংকটে এ কর্মসূচিও এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ।

সূত্র : এনডিটিভি


আরো সংবাদ



premium cement