২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কুম্ভমেলার তীর্থযাত্রীরা ভারতজুড়ে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে

কুম্ভমেলার তীর্থযাত্রীরা ভারতজুড়ে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে - ছবি- সংগৃহীত

ভারতে গত মার্চ-এপ্রিলে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যখন ভয়ঙ্কররূপে হানা দেয়, সংক্রমণ সামলাতে হিমশিম খায় দেশটির সরকার, এর মধ্যেই হিমালয় অঞ্চলের শহর হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় লাখ লাখ হিন্দু সমবেত হয়। তখন অনেকেই আশঙ্কা করেছিল, এই কুম্ভমেলা এক ‘সুপার-স্প্রেডার ইভেন্ট’। অর্থাৎ করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়ানোর এক বড় অনুষ্ঠানে পরিণত হবে। এখন মনে হচ্ছে, ওই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। কুম্ভমেলা থেকে ফিরে আসা লোকজনকে পরীক্ষা করে করোনা বা কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছে। তারা আরো লোকজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিয়েছে। এরকম খবর আসছে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে।

মাহান্ত শংকর দাস হরিদ্বারে ওই উৎসবে যোগ দিতে এসেছিলেন ১৫ মার্চ। তখন ভারতের অনেক অংশেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার চার দিন পর, অর্থাৎ ৪ এপ্রিল ৮০ বছর বয়সী এই হিন্দু পুরোহিত কোভিড পজিটিভ বলে পরীক্ষায় ধরা পড়লেন। তাকে একটি তাবুতে ফিরে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হলো। কিন্তু একাকী আলাদা থাকার পরিবর্তে মাহান্ত শংকর দাস তার ব্যাগ গুছিয়ে একটি ট্রেন ধরলেন। প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী এলাকা- বারাণসীতে পৌঁছালেন। ওইখানে স্টেশনে তার ছেলে নগেন্দ্র পাঠক তাকে নিতে আসলেন। তারা আরো কিছু লোকের সাথে একটি ট্যাক্সি শেয়ারে ভাড়া করে ২০ কিলোমিটার দূরের জেলা মির্জাপুরে তাদের গ্রামে পৌঁছান।

মাহান্ত দাস সম্প্রতি তার বাড়ি থেকে টেলিফোনে কথা বলার সময় বিবিসির সংবাদদাতাকে জানান, তিনি বেশ ‘সুস্থ ও সবল’ আছেন। বাড়ি ফিরার পর থেকে কোয়ারেন্টিনে থাকছেন।

মাহান্ত দাস দাবি করছেন, তার কাছ থেকে কেউ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তার ছেলে ও গ্রামের আরো কয়েকজনের মধ্যে কোভিডের উপসর্গ দেখা গেল। তার ছেলে নগেন্দ্র পাঠক জানান, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে গ্রামে জ্বর ও কাশির উপসর্গ নিয়ে ১৩ জন মারা গেছে।

ওই গ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মাহান্ত দাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকতে পারে। আবার এটা নাও হতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। যাত্রীর ভিড়ে ঠাসা একটি ট্রেনে ভ্রমণ করে, শেয়ারের ট্যাক্সিতে চড়ে তিনি হয়তো পথে পথে অনেক জায়গায় ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছেন।

রোগতত্ত্ববিদ ডা: ললিত কান্ত বলছেন, ‘মাস্ক না পরে তীর্থযাত্রীদের বড় বড় দল যখন নদীর তীরে দাঁড়িয়ে গঙ্গার বন্দনা করছে’, তখন আসলে এটি দ্রুত ভাইরাস ছড়ানোর এক আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। আমরা জানি যে গির্জায় কিংবা মন্দিরে যখন সমবেত মানুষ একসাথে কোরাসে গান গায়, এটি তখন একটি 'সুপার-স্প্রেডার ইভেন্টে' পরিণত হয়।’

হরিদ্বারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় দুই হাজার ৬৪২ জন তীর্থযাত্রী কোভিড পজিটিভ বলে ধরা পড়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় নেতাও ছিলেন।

উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, নেপালের সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ ও সাবেক রাণী কমল শাহ এই কুম্ভমেলা থেকে ফেরার পর পরীক্ষা করে তারাও কোভিডে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক শ্রাবণ রাঠোরও এই কুম্ভমেলা থেকে ফেরার কয়েকদিন পর মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে মারা যান। মেলায় যোগ দিতে যাওয়া আরেকটি দলের নয়জন হিন্দু ঋষি মারা যান।

কুম্ভমেলা থেকে ফেরা তীর্থযাত্রীরা অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এমন আশঙ্কার মধ্যে কয়েকটি রাজ্য তাদের জন্য ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধান চালু করে। যারা কুম্ভমেলায় যাওয়ার খবর চেপে যাওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়। কোনো কোনো রাজ্যে এদের জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু খুব কম রাজ্যেই আসলে কুম্ভমেলায় যাওয়া লোকজনের কোনো তালিকা আছে। কোনো রাজ্যেই এমন নিশ্ছিদ্র কোনো ব্যবস্থা নেই। যা দিয়ে তাদের সীমান্ত দিয়ে কে ঢুকছে আর কে বের হচ্ছে এর ওপর নজর রাখা যায়।

গত দু’সপ্তাহ ধরে ভারতের সমস্ত জায়গা থেকেই এমন খবর আসতে শুরু করেছে যে কুম্ভমেলা থেকে ফিরে আসা লোকজনকে পরীক্ষা করে কোভিডের সংক্রমণ ধরা পড়ছে।

রাজস্থানের কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে পল্লী এলাকায় দ্রুত কোভিড ছড়িয়ে পড়ার জন্য তীর্থযাত্রীদের দায়ী করছে। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উড়িষ্যায় কুম্ভমেলা থেকে ফেরা ২৪ জনের কোভিড ধরা পড়েছে। গুজরাটে কুম্ভমেলা থেকে ফিরেছে এমন ৩১৩ জন ট্রেনযাত্রীর মধ্যে ৩৪ জনের কোভিড ধরা পড়েছে। মধ্যপ্রদেশের একটি শহরে কুম্ভমেলা থেকে ফেরা ৬১ জনের মধ্যে ৬০ জনের, অর্থাৎ ৯৯ শতাংশই কোভিড-পজিটিভ পাওয়া গেছে পরীক্ষায়। কর্মকর্তারা এখন কুম্ভমেলা থেকে ফেরা আরো ২২ জনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে।

করোনা চিকিৎসায় অভিজ্ঞ ডা: কান্ত বলেছেন, ‘কুম্ভমেলা একটা ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে এনেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আর এই সংখ্যাগুলো আসলে ভাসমান বরফখণ্ডের চূড়া মাত্র। ওই তীর্থযাত্রীরা যখন দলবেঁধে ভিড়ের মধ্যে ট্রেনে-বাসে ভ্রমণ করছে, তখন কিন্তু তারা সংক্রমণের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। আমি কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলতে পারি, ভারতে যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এত বাড়ছে, তার একটা প্রধান কারণ কুম্ভমেলা।’

মাহান্ত দাসকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ভারতে যখন প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে, হাসপাতালগুলোতে বেড খালি নেই। অক্সিজেন ও ওষুধের সঙ্কটের কারণে রোগীদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে তখন কুম্ভমেলা বাতিল করাটাই ভালো ছিল কিনা- তখন তিনি ক্ষেপে গেলেন। তার প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, ‘সরকার যে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করছে, নির্বাচনী সভা করছে, ওটা তাহলে কিভাবে ঠিক হচ্ছে? আমাদের মতো ধর্মপ্রাণরা একসাথে হলে কেন শুধু ভুল ধরা হচ্ছে?’

এই হিন্দু পুরোহিত, ঋষি ও গুরুরা বিজেপির ভোট ব্যাংক
সমালোচকরা বলছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই এই কুম্ভমেলা বাতিল করতে চাননি। তার কারণ এটি করলে তিনি সম্ভবত মাহান্ত দাসের মতো ধর্মীয় নেতাদের দিক থেকে তোপের মুখে পড়তেন। এই হিন্দু পুরোহিত, ঋষি ও গুরুরা বিজেপির বড় সমর্থক। তারা নির্বাচনের সময় হিন্দু ভোট জোগাড় করে দিতে বড় ভূমিকা রাখে। এরা মূলত নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহদের গেরুয়া হিন্দুবাদী দলের ভোট ব্যাংক।

১২ এপ্রিল ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন
কুম্ভমেলার জন্য ১২ এপ্রিল ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক দিন। ওই দিন গঙ্গা নদীতে স্নান করেছেন ৩০ লাখের বেশি মানুষ। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই গঙ্গাস্নানের মাধ্যমে তারা মোক্ষলাভ করবেন। আর ওই দিন ভারতে এক লাখ ৬৮ হাজার মানুষের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের সংখ্যার দিক থেকে ওই দিন ভারত ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে।

কুম্ভমেলাকে কিছুটা সীমিত করা হয়েছিল এর আরো এক সপ্তাহ পর। যখন মেলায় অংশগ্রহণকারী একটি গ্রুপের একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা মারা যান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তখন হিন্দু ঋষিদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন উৎসবের কলেবর কমিয়ে প্রতীকীভাবে এটি উদযাপন করেন।

গত সপ্তাহে কুম্ভমেলার আয়োজকরা জানিয়েছে, ৯১ লাখ হিন্দু তীর্থযাত্রী এবার হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন। অথচ উত্তরাখণ্ডে হাইকোর্ট বলেছিল, একটা ভয়ঙ্কর মহামারীর মধ্যে এই মেলার আয়োজন করতে দিয়ে ওই রাজ্যটি সবার হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। মেলার শুরু থেকেই এমন আশঙ্কা ছিল যে এটির আয়োজন করা মানে অনেক ঝুঁকি ডেকে আনা।

মার্চের শুরুতেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ‘এক নতুন ও অনেক বেশি সংক্রামক ধরনের করোনাভাইরাস ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে।’ তারা আরো বলেছিলেন, লাখ লাখ মানুষকে মাস্ক ছাড়া এরকম এক উৎসবে সমবেত হতে দেয়া মোটেই বাস্তব-বুদ্ধিসম্মত কাজ হবে না।

উত্তরাখণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত বিবিসির সংবাদদাকে বলেছেন যে তিনি শুরু থেকেই কুম্ভমেলাকে সীমিত আকারে প্রতীকীভাবে আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলেন। কারণ বিশেষজ্ঞরা তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, এই মহামারী ‘খুব সহসা থামবে না। এ উৎসবে মানুষ তো শুধু ভারত থেকে আসে না। অন্য দেশ থেকেও আসে। আমার আশঙ্কা ছিল, অনেক সুস্থ মানুষ হরিদ্বারে আসবে। তারপর এখান থেকে সংক্রমণ নিয়ে যাবে সমস্ত জায়গায়।’

কিন্তু এই উৎসব শুরুর মাত্র কয়েক দিন আগে তাকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে তার জায়গায় বসানো হয় তিরাত সিং রাওয়াতকে, যিনি একবার মন্তব্য করেছিলেন, ‘মা গঙ্গার আশীর্বাদ থাকলে কোনো করোনা হবে না।’

আর দায়িত্ব পাওয়ার পর নতুন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল, ‘কুম্ভমেলায় আসতে কাউকে বাধা দেয়া হবে না। মেলায় যোগ দিতে কোনো কোভিড পরীক্ষার রিপোর্টও লাগবে না। নিরাপত্তার নিয়মগুলো মেনে চললেই যথেষ্ট।

কিন্তু যখন লাখ লাখ মানুষ আসতে শুরু করলো, তখন কর্মকর্তারা এসব নিয়ম মানতে আর মানুষকে বাধ্য করতে পারলেন না।

হরিদ্বারের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: শম্ভু কুমার ঝা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় মানুষকে সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। কারণ লোকজন কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসেনি। আর ধর্মবিশ্বাস পালনের জন্য যারা বহুদূরের পথ পাড়ি দিয়ে হরিদ্বারে এসেছিলেন, তাদেরকে তারা ফিরিয়েও দিতে পারছিলেন না।

ডা: শম্ভু কুমার বলেন, ‘কেউ একটা ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে চাইলে আপনি তো তাকে ফাঁসিতে ঝোলাতে পারেন না, পারেন কি?’ তিনি আরো বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ও হাইকোর্টের জারি করা কিছু নিয়মকানুন আছে। সাধ্যমতো এগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি।’

উত্তরাখণ্ডের একটি থিংক ট্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অনুপ নওটিয়াল বলেন, ‘এরকম বিপুল জনতাকে সামলাতে এই নিয়ম-কানুনগুলো মানতে বাধ্য করানো প্রায় অসম্ভব। কাগজে-কলমে এগুলো দেখতে খুব ভালো মনে হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব।’

উত্তরাখণ্ডে গত বছরের ১৫ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহ করছেন তিনি। অনুপ নওটিয়াল জানান, তীর্থযাত্রীরা যখন কুম্ভমেলায় আসতে শুরু করেছিল, তখন ১৪ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে ৫৫৭টি সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর অতি দ্রুত সংক্রমণ বাড়তে থাকে। কুম্ভমেলার শেষ সপ্তাহে ২৫ এপ্রিল হতে ১ মে পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৫৮১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর মধ্যে সবাই যে কুম্ভমেলা থেকে হয়েছে, তা বললে ভুল বলা হবে। কিন্তু সংক্রমণ যে খুব বেশি বাড়লো, এর সাথে মেলার সম্পর্ক আছে বলেই মনে করেন অনুপ নওটিয়াল।

কুম্ভমেলার আয়োজন করতে দিয়ে ভারতের যে ক্ষতি হয়ে গেছে, এরপর ভারত কী করতে পারে- এমন প্রশ্নে ডা: কান্ত বলেন, ‘কেউ একজন বলেছিলেন যে পূণ্যার্থীরা এই করোনাভাইরাসকে ঈশ্বরের প্রসাদ হিসেবে নিয়ে যাবে, সবার মধ্যে বিলিয়ে দেবে। তীর্থযাত্রীরা যে এই সংক্রমণ সর্বত্র বহন করে নিয়ে গেল, তা আসলেই এক ট্র্যাজিক ঘটনা।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই ভুল সংশোধন করার জন্য বা করার মতো কিছু আছে বলে আমি ভাবতে পারছি না। আমাদের জাহাজ সাগরের অনেক গভীরে ভেসে গেছে। আমরা এখন আর নিরাপদে বন্দরে ফিরতে পারবো না। এটা খুবই দুঃখজনক এক ঘটনা। আমি এখন কেবল প্রার্থনা করছি, লোকজনের অসুস্থতা যেন অল্পের ওপর দিয়ে যায়। তারা যেন সুস্থ হয়ে উঠে।’

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement