২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ট্রাম্পের করোনার ‘আশ্চর্য ওষুধ’ আসছে ‌ভারতের বাজারে

ট্রাম্পের করোনার ‘আশ্চর্য ওষুধ’ আসছে ‌ভারতের বাজারে - ছবি : সংগৃহীত

বলা হচ্ছে ‘‌ওয়ান্ডার ড্রাগ'‌ বা আশ্চর্য ওষুধ। যা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে গিয়ে দ্রুত কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন এ ওষুধই তার ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল।

সুইস ওষুধ সংস্থা ‘‌হফমান–লা রোচে’র তৈরি এ ওষুধটি আসলে কোভিড প্রতিরোধে সক্ষম একাধিক অ্যান্টিবডির ককটেল বা মিশ্রণ। আমেরিকায় কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর ওই শুরুর সময় এ ওষুধটি পরীক্ষার স্তরেই ছিল। ওই হিসেবে ট্রাম্পের নিজস্ব চিকিৎসকেরা যথেষ্ট সাহসেরই পরিচয় দিয়েছিলেন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেও রীতিমত ঝুঁকি নিয়েছিলেন। দেখা গেল, ওষুধটি সাফল্যের সাথেই ট্রাম্পকে কোভিডমুক্ত করতে পেরেছিল।

ওই ওষুধই এবার ভারতে তাদের সহযোগী সংস্থা সিপ্লা’র মাধ্যমে বাজারে আনছে রোচে ইন্ডিয়া। জরুরি পরিস্থিতিতে, আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে এ ওষুধটি প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১২ বছরের বেশি বয়স ও ৪০ কেজির ওপর ওজন হলে, হাল্কা থেকে মাঝারি তীব্রতার কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে এ ওষুধ দেয়া যাবে। সদ্য কোভিড হয়েছে, সংক্রমণ তেমন ছড়ায়নি, অথবা কোভিড হওয়ার সম্ভাবনা আছে, এমন লোক উপকৃত হবেন এ ওষুধে। ৬০ বছরের ওপর বয়স, হার্টের অসুখ, ফুসফুসের রোগ, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস আছে, এমন ‘‌কোমর্বিডিটি’‌ থাকা রোগীদের জন্যও এ ওষুধ নিরাপদ বলে জানাচ্ছে প্রস্তুতকারী সংস্থা রোচে ইন্ডিয়া।

কীভাবে কাজ করবে এ অ্যান্টিবডি ককটেল?‌ ব্যাখ্যা করলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: শান্তনু চট্টোপাধ্যায়। কোভিড ভ্যাকসিন দেয়ার পর শরীরে কোভিড প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হতে কিছুটা সময় লাগে। অন্তত সপ্তাহ দুয়েক। কারণ ভ্যাকসিন আসলে সামান্য পরিমাণে মৃত ভাইরাস বা ভাইরাসের প্রোটিন অংশ, যা শরীরের ভিতরে গেলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে উঠে উপযুক্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা ভবিষ্যতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তার বদলে এ ওষুধ সরাসরি অ্যান্টিবডি ঢুকিয়ে দেয় শরীরে, যা তৎক্ষণাৎ সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকতে যখন তার কোভিড ধরা পড়েছিল, তখন ভ্যাকসিন বলতে সেভাবে পরীক্ষিত কিছু ছিল না। ফলে কিছুটা নিরুপায় হয়েই এ ওষুধটি তার ওপর প্রয়োগ করা হয় এবং তাতে কাজ হয়।

তবে এ ওষুধটির ক্ষেত্রে একটা জরুরি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ডা: শান্তনু চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‌‘‌এটা কিন্তু একটা সাময়িক ব্যবস্থা। অ্যান্টিবডি শরীরে দেয়া হলেও সেটা ক্রমে দুর্বল হয়ে যাবে। সেখানে ভ্যাকসিন একটা স্থায়ী সমাধান। কাজেই যখন কারো হঠাৎ করে কোভিড হল, তখন এটা দিয়ে সংকটটা সাময়িকভাবে কাটিয়ে ওঠা যাবে বা আমাদের দেশে যেখানে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে এটা দিয়ে কিছুটা সামাল দেয়া যাবে।‌’

তবে এ ওষুধ কখনোই ভ্যাকসিনের বিকল্প হবে না, ভ্যাকসিনই আসল সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
দেশে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ রংপুরে মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে : ধর্মমন্ত্রী সিলেটে ৪৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৪ অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে চাপম্যান-আফ্রিদির উন্নতি থানচিতে ট্রাকে দুর্বৃত্তদের গুলি চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫ রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬, আহত ৮

সকল